Advertisement
Advertisement

Breaking News

Newtown Encounter

নিউটাউন এনকাউন্টার: ফ্ল্যাটের বেডরুমেই চলে গুলিযুদ্ধ, প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ ফরেনসিক দলের

মোহালি থেকে ধৃত সুমিত কুমার আসলে ভরতেরই ব্যবসায়িক সঙ্গী, তদন্তে মিলল তথ্য।

Newtown Encounter: firing taken place into the bedroom of the flat, says primary report by forensic team |Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 12, 2021 9:08 pm
  • Updated:June 12, 2021 9:12 pm  

কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: ‘সুখবৃষ্টি’তে গুলিবৃষ্টি। বুধবার বিকেলের আলো ঢেকে গিয়েছিল সেই আওয়াজেই। ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছিল বি ব্লকের ২০১ নং ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা – দুই গ্যাংস্টার জয়পাল, জসপ্রীত। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ৩৫ রাউন্ড গুলিযুদ্ধে জখম হয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের এসটিএফের এক ইন্সপেক্টর। কলকাতার বুকে এত বড় এনকাউন্টারের ঘটনা স্মরণাতীতকালে ঘটেছে বলে মনে করতে পারেন না কেউ। সেই নিউটাউন এনকাউন্টার (Newtown Encounter) কাণ্ডের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল ফরেনসিক দল (Forensic report)। শনিবার সন্ধেয়, ঘটনার তিনদিন পর প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ল। সূত্রের খবর, তাতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে, যা পরবর্তী তদন্তের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

ফরেনসিক সূত্রে খবর, ঘটনার দিন শুধুমাত্র ফ্ল্যাটের ভিতরেই গুলি বিনিময় হয়েছিল। বাইরে একটাও গুলির দাগ নেই। অর্থাৎ এনকাউন্টার হয়েছিল ২০১ নং ফ্ল্যাটের চার দেওয়ালের মাঝে। ঘরের দেওয়াল, আলমারিতে বুলেটের দাগ রয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, নিহত জসপ্রীতের দেহে ৪টি এবং জয়পালের শরীরে ৬টি বুলেটের ক্ষত দেখা গিয়েছে। ৪৮০ স্কোয়্যার ফুটের ফ্ল্যাটের বেডরুমে তারা ছিল। সূত্রের খবর, পুলিশ ঢুকে প্রথমে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলে। তাতে তারা পালটা বন্দুক বের করে। তাতেই গুলিযুদ্ধ শুরু হয়। তাদের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি MP5 পিস্তল, একটি গ্লক পিস্তল। উদ্ধার হয়েছে ল্যাপটপ, এটিএম কার্ড, প্রিন্টার, মোবাইল। সেখানে কী কী তথ্য আছে, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে খবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কুণাল ঘোষের বাড়িতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, আরও বাড়ছে ‘ঘর ওয়াপসি’র জল্পনা]

এদিকে, শনিবার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মোহালি থেকে ধৃত সুমিত কুমার সম্পর্কে আরও তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। তাতে আরও জট তৈরি হয়েছে। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমিত কুমার আসলে আরেক ধৃত ও এই ঘটনার অন্যতম মাথা ভরতের ব্যবসায়িক অংশীদার। এরা দুজন মিলে ২০১৫ সাল থেকে মোবাইল নম্বরের চোরাকারবার চালাত। বিদেশ থেকে এবং ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে নম্বর সংগ্রহ করে সেইসব সিম মোটা টাকায় পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় বিক্রি করত তারা।

[আরও পড়ুন: বিধায়করা তো গরু-ছাগল নয়! দলে ভাঙন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দিলীপ]

সুমিতকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এবং এই ঘটনায় আরও একটি নাম উঠে এসেছে – অমরজিৎ সিং। এই ব্যক্তি পুলিশের পাঞ্জাব পুলিশের কনস্টেবল পদে কাজ করেন। তার পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে ভরতের কাছে। পুলিশের বক্তব্য, জয়পাল এবং জসপ্রীত গোয়ালিয়র থেকে নিয়ে আসার সময় একটি টোলপ্লাজায় ভরত এই পরিচয়পত্র দেখিয়ে নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দিয়েছিল। অমরজিৎ সিং কে জিজ্ঞাসাবাদ করার কাজ শুরু হয়েছে। ভরত জেরায় জানিয়েছে, সে সুমিত এবং অমরজিৎ এই তিনজন বন্ধু। এরা শুধু মোবাইল নম্বরের বেআইনি কারবার করে নাকি অন্য কোন অপরাধের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে পাঞ্জাব পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement