অর্ণব আইচ: ফুলবাগান কাণ্ডের (Phoolbagan) ধৃত অস্ত্র সরবরাহকারীকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ‘খুনি’ অমিত আগরওয়ালকে অস্ত্র পাচারকারীর সন্ধান দিয়েছিল এক রাঁধুনি! তাঁর কাছ থেকেই চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট অমিত জেনেছিলেন, কোথা থেকে পাওয়া যায় মুঙ্গেরি অস্ত্র।
অমিতের মোবাইলের সূত্র ধরে সম্প্রতি খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র পাচারকারীর সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। এরপর মঙ্গলবারই পঙ্কজ কুমার নামে ওই যুবককে বিহারের নওয়াদা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করতেই একাধিক প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর যে সংস্থায় অমিত চাকরি করতেন সেখানেই তার সঙ্গে আলাপ হয় এক রাঁধুনির। ওই ব্যক্তি বিহারের বাসিন্দা। কথায় কথায় অমিত তার কাছ থেকে জানতে পারে যে, অস্ত্র পাচারকারীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। এরপরই সংস্থার পদস্থ কর্মী হয়েও রাঁধুনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় অমিত। ওই রাঁধুনিই অমিতের সঙ্গে বিহারের পঙ্কজ কুমারের যোগাযোগ করিয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, ৬০ হাজার টাকায় পিস্তলটা কিনেছিল অমিত। এর মধ্যে ৪০ হাজার টাকা আগাম ও বাকি টাকা হাতে হাতে দেয় হাওড়া স্টেশনে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে পাটনা গিয়ে পঙ্কজের সঙ্গে দেখা করেছিল অমিত। কিছু আগাম টাকাও দিয়ে আসে সেই সময়। এরপর ফিরে যায় বেঙ্গালুরুতে। পরে গত ৭ মার্চ পাঁচ ঘণ্টার জন্য কলকাতায় আসে অমিত। ওইদিনই বিহার থেকে সেভেন এমএম পিস্তল ও দশটি বুলেট নিয়ে ট্রেনে হাওড়ায় নামে পঙ্কজ। বিমানবন্দর থেকে অমিত পৌঁছে যায় হাওড়া স্টেশনে। সেখানেই একটি ব্যাগে করে ওই অস্ত্র ও গুলি খুনির হাতে তুলে দেয় পঙ্কজ। বুঝিয়ে দেয়, কীভাবে পিস্তল চালাতে হবে। অস্ত্র থেকে গুলি না বের হলে কী করতে হবে, তা-ও বলে দেয় সে। এরপর ইন্টারনেট দেখেও অমিত শেখে অস্ত্র চালানোর কৌশল। তারপরই নৃশংসভাবে হত্যা করে শাশুড়িকে। এখানে প্রশ্ন উঠছে, যে রাঁধুনি অমিত ও পঙ্কজের মাঝে সেতুর কাজ করেছেন তিনি কী গোটা পরিকল্পনাই জানত? উত্তর পেতে ব়াঁধুনির সন্ধানে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.