কলহার মুখোপাধ্যায়: মাত্র একদিনেই নিউটাউনে প্রোমোটার খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। রাতভর নিউটাউন ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি অভিযানে ধরা পড়ল আট অভিযুক্ত। ধৃতের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রোমোটার চঞ্চল মণ্ডলকে খুনের জন্য পেশাদার খুনি নিয়োগ করেছিল তাঁর প্রতিবেশী অজিতেশ হালদার। ঘটনার দিন চারেক আগে নিউটাউনের পাথরঘাটায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে তিন জন। বেশ কয়েকবার এলাকায় রেইকিও করে তারা।
[ বিদেশ ভ্রমণের নামে আর্থিক প্রতারণা, পুলিশের দ্বারস্থ প্রতারিত]
রবিবার ভরসন্ধেয় পাথরঘাটার মালোপাড়ায় নিজের বাড়িতেই খুন হন প্রোমোটার চঞ্চল মণ্ডল। বাড়িতে ঢুকে খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরিবার লোকেরা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধে আটটা নাগাদ চঞ্চলের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে আসে তিন যুবক। তখন বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান ও ভাই। ওই তিনজনের সঙ্গে বচসা শুরু হয় প্রোমোটারের। হঠাৎ করে বন্দুক বের করে খুব কাছ থেকে চঞ্চলকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয় একজন। ঘটনাস্থলেই মারা যান প্রোমোটার চঞ্চল মণ্ডল। বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের মারে গুরুতর আহত হন তাঁর ভাই দেবব্রত মণ্ডলও।
তদন্তে নেমে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ শুনে অভিযুক্তদের স্কেচ তৈরি করে পুলিশ। সোমবার রাতভর নিউটাউন ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আট জনকে। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জমির দালালি করে মৃতের প্রতিবেশী অজিতেশ হালদার। টাকা-পয়সা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসা হয়েছিল চঞ্চলের। সেই রাগেই ওই প্রোমাটারকে খুনের পরিকল্পনা করে অজিতেশ। পেশাদার খুনিদের সাহায্য নেয় সে। বস্তুত, খুনিরা যে মৃতের পরিচিত, সে সম্পর্কে প্রথম থেকে নিশ্চিত ছিল পুলিশ।
[ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের ছাদ থেকে ‘মরণঝাঁপ’ রোগীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.