স্টাফ রিপোর্টার: আর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ নয়। বরং মেডিক্যাল কলেজ, বেঙ্গল। পুরনো এই নামেই ফের ডাকা হতে পারে শতাব্দী প্রাচীন হাসপাতালকে। রবিবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে এমন বিতর্কই উসকে দিল মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবিতে সম্মতি জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে শুধু এই দাবিটিই নয়। নিকটবর্তী সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের নাম পরিবর্তনেরও জোরাল দাবি তুললেন পড়ুয়ারা।
[পরীক্ষায় ফেল করে আত্মঘাতী ছাত্রী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঠগড়ায় তুলল পরিবার]
তাদের কথায়, “শহরের একাধিক মেট্রো স্টেশন খ্যাতনামা ব্যক্তিদের নামে হয়েছে। সেখানে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের নাম বদলে কেন মেডিক্যাল কলেজ রাখা হবে না?” যুক্তি দিয়ে পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, দেশের প্রথম মৃতদেহ কাটাছেঁড়া করে তা থেকে ডাক্তারি পাঠ নেওয়ার প্রবর্তন করেছিল এই কলেজ। আধুনিক ভারতের প্রথম ‘অ্যানাটমার’ মধুসূদন গুপ্তর নাম জড়িয়ে এই হাসপাতালের সঙ্গেই। দেশের প্রথম সারির এই স্বাস্থ্য-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও ছড়িয়ে দিতে মেট্রো স্টেশনের নাম হাসপাতালের নামে রাখার দিকেই ঝুঁকেছেন ছাত্রছাত্রীরা। তবে অন্য একটি বিষয়ও আছে। নাম বদলালে সাধারণ মানুষের পরিষেবা পেতেও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন তারা। তাদের কথায়, প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসেন হাসপাতালে। মেট্রো স্টেশনের নাম হাসপাতালের নামে রাখা হলে সহজেই পথনির্দেশ পাবেন রোগীরা। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মেট্রো স্টেশনের নাম বদলানোর বিষয়টি রেল বোর্ডের বিবেচনা সাপেক্ষ। পড়ুয়াদের দাবি মেনে তাদের কাছে এই প্রস্তাব পাঠানো হবে।
এই হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমেই ভারতের মাটিতে পাকাপাকিভাবে ডাক্তারি শিক্ষার পত্তন করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ১৮৩৫-এর ২৮ জানুয়ারি ডাক্তারি শিক্ষাদানে নয়া ধাপে পৌঁছয় দেশ। সেদিনই কলকাতায় গড়ে ওঠে মেডিক্যাল কলেজ। এদিন পড়ুয়াদের দাবি মেনে নির্মল মাজি জানিয়েছেন, অতি দ্রুত পড়ুয়াদের এই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হবে। মেডিক্যাল কলেজকে যাতে পুরনো নামেই ডাকা হয় সেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনও।
[চাকরি পেয়েও ভেন্ডরের দায়িত্বে, অবৈধ ১৯টি স্টল ভাঙল রেল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.