Advertisement
Advertisement

Breaking News

Attempt suicide

১০০ ডায়ালে ফোন করে আত্মহত্যার ‘ইচ্ছাপ্রকাশ’ পুরসভার কর্মীর, প্রাণ বাঁচাল পুলিশ

ওই কর্মীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

New Market Police saved employee of KMC trying to kill himself by receiving phone call in 100 Dial | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 10, 2023 2:49 pm
  • Updated:October 10, 2023 3:12 pm  

অভিরূপ দাস: ভাই আত্মহত্যা করছেন দেখে দিদি তড়িঘড়ি ১০০ ডায়াল করায় কলকাতা পুলিশ প্রাণ বাঁচিয়েছিল আহিরিটোলার যুবকের। সোমবার এই ঘটনার পর মঙ্গলবারও প্রায় একই ঘটনার ছায়া খাস কলকাতা পুরসভার (KMC) অন্দরে! এদিন দুপুরে ১০০ ডায়াল করে এক যুবক জানান, কাজের চাপ সামলাতে পারছেন না তিনি। তাই আত্মহত্যার (Suicide) সিদ্ধান্ত নিলেন। কালক্ষেপ না করে পুলিশ নিউ মার্কেট থানার সাহায্য নিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা থেকে বাঁচাল ওই যুবককে। এর পর পুরসভার অফিস থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ মার্কেট। সঞ্জীব সেহগাল নামে ওই ব্যক্তির বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা চলছে বলে খবর।

মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ লালবাজারের ১০০-এ একটি ফোন আসে। তাতে এক যুবক জানান, তিনি কলকাতা পুরসভার সেন্ট্রাল রেকর্ড বিভাগের কর্মী। কাজের প্রচুর চাপ, তিনি সামলাতে পারছেন না। মানসিক অবসাদেও ভুগছেন। তাই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন। এই ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে লালবাজারের তরফে যোগাযোগ করা হয় নিউ মার্কেট থানার (New Market PS) সঙ্গে। ওই যুবককে যেভাবে হোক বাঁচাতেই হবে, এমনই নির্দেশ আসে। দ্রুত পদক্ষেপ নেয় নিউ মার্কেট থানার পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ককপিটে বসে রশ্মিকার ঠোঁটে ঠোঁট রাখলেন রণবীর! ছবি ভাইরাল হতেই হইচই]

পুরসভার সেন্ট্রাল রেকর্ড বিভাগে ঢুকে পুলিশ দেখতে পায়, ওই কর্মী অফিস ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিংয়ে দড়ি ঝুলিয়ে একেবারে নিজেকে শেষ করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সেই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তির নাম সঞ্জীব সেহগাল। পুরসভার সেন্ট্রাল রেকর্ড বিভাগের বহুদিনের কর্মী।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের এক কর্মী জানান, সঞ্জীব যে কোনও কাজের বিনিময়ে ‘ঘুষ’ নিতেন এবং আর্থিক তছরূপের নানা ঘটনায় তাঁর নাম উঠে এসেছিল। সেই অভিযোগে তাঁকে অন্য বিভাগে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকদিন পর সঞ্জীব ফিরে আসেন সেন্ট্রাল রেকর্ড বিভাগে।  

[আরও পড়ুন: থামছে না মৃত্যুমিছিল, আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪০০০ পার]

ধীরে ধীরে তাঁর এসব অবৈধ কাণ্ড জানাজানি হয়ে যাচ্ছিল। আগত পরিস্থিতি থেকে গা বাঁচাতেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।  এ বিষয়ে পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ”নানা কারণে কারও কারও মানসিক অবসাদ আসতে পারে। ওই কর্মীকে আত্মহত্যা করা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি যাতে সুস্থ, স্বাভাবিক থাকেন, তার জন্য পুলিশ ও পুর কর্তৃপক্ষ সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement