কলহার মুখোপাধ্যায়: মঙ্গলবার দুপুরে যুবক খুনে অভিযুক্ত গীতা মাহেনসরিয়া ও তার ছোটছেলেকে নিয়ে সল্টলেকের বাড়িতে গিয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রায় দেড়ঘণ্টা ধরে ঘটনার পুনর্নিমান করেন তাঁরা। সেখানেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১.১০ নাগাদ গীতা ও বিদুর মাহেনসরিয়াকে নিয়ে সল্টলেকের এজে ব্লকের তাদের বাড়িতে যান পুলিশ আধিকারিকরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ৩.৩৩ নাগাদ সেখান থেকে বের হন সকলে। পুলিশের অনুমান, যে কঙ্কালটি ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল, খুনের পর অত্যন্ত ধীর গতিতে সেই দেহটি পোড়ানো হয়েছিল। যাতে আগুন কোনওভাবে ছড়িয়ে না পড়ে সেই কারণে রীতিমতো এক একটি অংশ করে পোড়ানো হয় যুবকের দেহ। জানা গিয়েছে, যে ঘরে পোড়া দাগ মিলেছে সেখানে মিলেছে একটি ঘড়ি। যেটির কাঁটা ১ টা বেজে ৫ মিনিটে থমকে। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই সময় আগুনের জেরে ঘরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিকল হয়ে যায় ঘড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই ঘরের এসিটি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রহস্যের শিকড়ে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া নোড়ায় লেগে থাকা রক্ত নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে। উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত দিনকয়েক আগে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে গিয়ে সল্টলেকের এজে ব্লকের ২২৬ নম্বর বাড়ির ছাদ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে পূর্ণবয়স্ক একটি নরকঙ্কাল। পুলিশের অনুমান ছিল, দেহটি ওই বাড়ির বড়ছেলে অর্জুন মাহেনসরিয়ার। এরপরই তাঁকে খুনের অভিযোগে মা ও ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই সময়ই জানা গিয়েছে, মাহেনসরিয়া দম্পতির মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। পরিস্থিতি এত খারাপ হয় যে আলাদা থাকতে শুরু করেন গৃহকর্তা অনীল মাহেনসরিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.