ছবি: প্রতীকী।
অর্ণব আইচ: হাওড়া টাকা উদ্ধার কাণ্ডের তদন্তে নেমে আরও ১৭ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেল পুলিশ। এর মধ্যে ৬ টি অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৫৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধেয়ও শৈলেশ পাণ্ডের স্ট্র্যান্ড রোডের অফিসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু নথি।
হাওড়ার টাকা উদ্ধার কাণ্ডের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসছে পুলিশের। নরেন্দ্রপুরের যে ব্যাংকের অভিযোগের ভিত্তিতে পাণ্ডে ব্রাদার্সের হদিশ পায় পুলিশ সেখানেই মিলেছে আরও ১৭ টি অ্যাকাউ্ন্ট। ব্যাংক সূত্রে জানা গিয়েছে, তার মধ্যে ৬ অ্যাকাউন্টে গত ৬ মাসে মোট ৫৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যদিও বর্তমানে সেই অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স শূন্য। অর্থাৎ পাণ্ডে ব্রাদার্সের মোট দুর্নীতির পরিমান এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তা ১৩৪ কোটি টাকা। তদন্তকারীদের ধারণা, শৈলেশ পাণ্ডের দুর্নীতির এই জাল বিদেশেও ছড়িয়েছিল। রহস্যের কিনারা করতে জোরকদমে চলছে তদন্ত।
প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের দু’টি অ্যাকাউন্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। দেখা যায়, ওই দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন হয়েছে ৭৭ কোটি টাকা। পাঁচটি সংস্থার নামে পাঁচ ব্যক্তি ওই টাকা অ্যাকাউন্ট দু’টিতে জমা পড়েছে। স্ট্র্যান্ড রোডের ঠিকানায় শৈলেশ পান্ডে নামে ওই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টই ভুয়ো নথিপত্রের সাহায্যে অ্যাকাউন্ট দু’টি খোলার ব্যবস্থা করেছেন। সেই সূত্র ধরেই শুরু হয় তদন্ত। ওই ব্যাংকের রিজিওনাল ম্যানেজারের অভিযোগের ভিত্তিতে টিএম ট্রেডার্সের আমন ঠাকুর, কেকে ট্রেডার্সের কৌশল কুমার, এমআর ট্রেডার্সের রাকেশকুমার সিং, পিকে ট্রেডার্সের পঙ্কজকুমার তিওয়ারি ও আরকে ট্রেডিংয়ের রাহুলকুমার আকেলার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা দায়ের হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.