অর্ণব আইচ: সঙ্গিনীকে মদ্যপান করিয়ে গলা কেটে খুন করেছিল খুনি। ওয়াটগঞ্জে সিআইএসএফের পরিত্যক্ত আবাসন চত্বর থেকে যুবতীর খন্ড খন্ড দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। দেহের খন্ড উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনাক্ত হল যুবতীর দেহ। যুবতীকে খুন করে দেহ খন্ড করার মূল অভিযোগের তির যুবতীর দেওর ও স্বামীর দিকেই।
পুলিশের দাবি, দুর্গা সরখেল (৩০) নামে ওই মহিলার স্বামী মদ ও মাদকে আসক্ত। তাঁকে রিহ্যাবে পাঠানো হয়। গত সোমবার রিহ্যাব থেকে পালিয়ে ওয়াটগঞ্জে নিজের বাড়িতে চলে আসে সে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক। যদিও পুলিশের সন্দেহের মূল তীর দেওর নীলাঞ্জন সরখেলের দিকে। বুধবার রাতে নীলাঞ্জনকে আটক করেন ওয়াটগঞ্জ থানা ও লালবাজারের গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
সোমবার রাতে খুনি স্বামী নিজে আকণ্ঠ মদ্যপান করে। স্ত্রীকে জোর করে মদ্যপান করায়। তার পর বাড়িতেই শুরু হয় বচসা। মদের ঘোরেই মঙ্গলবার ভোর রাতে বাড়িতে থাকা একটি ছুরি দিয়ে ওই মদ্যপ ব্যক্তি দুর্গার গলার নলি কেটে তাঁকে খুন করে। এর পর মদ্যপ অবস্থায় সে দেহটি খন্ড খন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারী ও ধারালো করাতের মতো অস্ত্র দিয়ে ঘষে ঘষে অন্তত ন’খণ্ড করা হয় দেহটিকে। তিনটি প্লাস্টিকে করে যুবতীর মাথা, বুক ও পেটের অংশ ও চেটো ছাড়া দু’টি পা পোরা হয়। বাকি প্লাস্টিকে পোরা হয় দু’টি হাত, দেহের নিচের অংশ, পায়ের দু’টি চেটো। সেগুলি কোথায় ফেলা হয়েছিল, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, দুর্গা সরখেলের বাপেরবাড়ি পশ্চিম বন্দর এলাকায়। কয়েক বছর আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় ওয়াটগঞ্জের ওই যুবকের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে মদের উপর আসক্তি তার বেড়ে যায়। তাই তাকে রিহ্যাবে পাঠানোর পর ওই মহিলার সঙ্গে দেওর জোর করে কোনও সম্পর্ক তৈরি করে কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। এদিন সন্ধ্যায় দুর্গার বাপের বাড়ির লোকেরা তাঁর দেহটি শনাক্ত করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.