অর্ণব আইচ: ঝাড়খণ্ডের গিরিডির দুর্গম পাহাড়ের উপর পাথরের খাঁজে লুকিয়ে রাখা ছিল একটি রিভলবার। সেই অস্ত্রটি খুঁজে পেয়েই তাদের ডাকাতি করার কথা মাথায় আসে। ক্রমে কলকাতায় ডাকাতির ছক কষে ডাকাতরা। সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতায় টালিগঞ্জে প্রবীণ দম্পতিকে মারধর করে গুলি চালিয়ে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় ধৃত ডাকাতদের দাবি শুনে হতবাক পুলিশ আধিকারিকরা। তবে টালিগঞ্জ এলাকার প্রায় মজে যাওয়া পুকুরে ডুবুরি নামিয়েও সন্ধান মেলেনি সেই ‘পাহাড়ি রিভলভার’-এর। তবে ওই এলাকার একটি সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে যে, পালানোর সময় ওই পুকুরেই তারা ফেলেছে অস্ত্রটি। আবার অস্ত্র জোগাড়ের ক্ষেত্রে ধৃত তিন ডাকাতের দাবি সত্যি হলে সেটি মাওবাদীদের অস্ত্র হওয়ার সম্ভাবনাও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না।
কিছুদিন আগেই দক্ষিণ কলকাতার লেক অ্যাভিনিউয়ের একটি বহুতলে প্রবীণ দম্পতির উপর অত্যাচার করে ডাকাতির চেষ্টা করে বাড়ির সাফাইকর্মী ও তার দুই সঙ্গী। তিনজনকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জেরার মুখে তারা জানায় যে, পালানোর সময় সাহাপুর রোডের সংযোগকারী অপরিসর রাস্তার পাশে মজে যাওয়া পুকুরে অস্ত্রটি ফেলে দিয়েছে। এলাকার একটি সিসিটিভির ফুটেজেও তাদের পুকুরে অস্ত্র ছুঁড়ে দিয়ে দেখা যায়। তারই সন্ধানে পুলিশ ডিএমজির ডুবুরি ওই পুকুরে নামায়। কিন্তু পাঁকে ডুবে যাওয়া ওই রিভলভারটির সন্ধান মেলেনি।
এদিকে, তারা কোথা থেকে, কত টাকা দিয়ে অস্ত্রটি কিনেছে, তার উত্তরে সাফাইকর্মী সঞ্জয়ের দুই সঙ্গী জানায়, তাদের অস্ত্র কিনতে হয়নি। তারা গিরিডির একটি পাহাড়ে ঘোরাঘুরি করছিল। হঠাৎই পাথরের খাঁজে তারা অস্ত্রটি দেখতে পায়। ভিতরে ছিল বুলেটও। এর পরই তাদের মাথায় ডাকাতির পরিকল্পনা আসে। সাফাইকর্মী সঞ্জয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে সে-ও রাজি হয়ে যায়। সে-ই রিভলবারটি নিয়ে তাদের রেলপথে কলকাতায় আসতে বলে। তারা শহরে আসার পর সঞ্জয় সঙ্গীদের কাছ থেকে অস্ত্রটি দেখে। এর পর মদ্যপানের আসরে বসে লেক অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে তারা ডাকাতির ছক কষে। যদিও ডাকাতদের পাহাড় থেকে এভাবে অস্ত্র জোগাড় করার দাবি নিয়ে পুলিশ এখনও ধন্দে। তারা কারও কাছ থেকে অস্ত্রটি কিনেছিল কি না, সেই ব্যাপারেও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.