ফাইল ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার: তরুণী চিকিৎসক খুনের খবর পেয়ে আর জি কর হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির যে এএসআই প্রথম সেমিনার রুমে যান, তিনি ফিরে এসে যে জিডি করেছিলেন তা প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা ওই জিডিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক সঞ্জয় ভদ্র। জিডিতে বলা হয়েছে, সেমিনার রুমে গিয়ে এএসআই দেখেন অচেতন অবস্থায় নির্যাতিতার দেহ মেঝেতে শোয়ানো এবং তাঁকে ঘিরে রয়েছেন ১০-১৫ জন ডাক্তার। এই ডাক্তার কারা প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই।
এর আগে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে ওই দিন সকালে সেমিনার রুমের যে ভিডিও ফুটেজটি ফাঁস করা হয়েছিল সেখানে তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা ছাড়াও সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন চিকিৎসককে দেখা গিয়েছে। এএসআই সকাল পৌনে দশটা নাগাদ সেমিনার রুমে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়েই তিনি টালা থানার ওসিকে ফোনে ঘটনাটির কথা জানান। অত সকালে যে ১০-১৫ জন চিকিৎসক নির্যাতিতার দেহের কাছে গিয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেকেরও প্রমাণ লোপাটের সুযোগ ছিল। যে ডাক্তার প্রথম ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতাকে দেখতে পান তাঁকে জেরা করেছে সিবিআই। ঘটনাস্থল থেকে আরও যে দু’জন জুনিয়র ডাক্তারের ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলেছে তাঁদেরও বক্তব্য নিয়েছে সিবিআই।
প্রশ্ন উঠেছে, সিবিআই কি সেমিনার রুমের বাইরের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সকালে দেহের কাছে হাজির থাকা ওই ১০-১৫ জন চিকিৎসককে চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে? এই ১০-১৫ জন চিকিৎসকের পরিচয় কেন জুনিয়র ডাক্তাররাই বা সামনে আনছেন না, তার উত্তরও বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে। জুনিয়র ডাক্তাররা বেছে বেছে কেন সেমিনার রুমের আরও বেলার দিকের ভিডিও ফুটেজ শুধু ফাঁস করলেন, প্রশ্ন তা নিয়েও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.