সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: তাঁর নিয়োগ নিয়ে এখন পুরোদস্তুর রাজনীতি চলছে। শোনা যাচ্ছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি তাঁর নিয়োগ নিয়ে ক্ষুব্ধ। এমনকী নির্বাচন কমিশনের কাছে কড়া ভাষায় চিঠিও লিখেছে রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে শনিবার দায়িত্বভার বুঝে নিলেন কলকাতা পুলিশের নতুন কমিশনার রাজেশ কুমার। দায়িত্ব নেওয়ার পর লালবাজারে একটি সাংবাদিক বৈঠকও করেন তিনি।
প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে নতুন সিপি কলকাতা পুলিশের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করলেন। রাজেশ কুমার জানালেন, ভোটের মুখে এত বড় দায়িত্ব পেয়ে তিনি আপ্লুত। কিন্তু, ভোটের মাত্র কয়েকদিন আগে এত বড় দায়িত্ব পেলেন, কীভাবে সামলাবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে সিপির জবাব, “আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, পুরোপুরি নির্বিঘ্ন এবং শান্তিপূর্ণ লোকসভা নির্বাচন করার ব্যাপারে কলকাতা পুলিশ বদ্ধপরিকর।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিনই কলকাতা পুলিশের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাজেশ কুমার। তিনি বলেন, “কলকাতা পুলিশ নাগরিক সুরক্ষায় বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে যা প্রশংসনীয়। আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খুব ভাল। তাছাড়া সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্যও বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ।” কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার নাগরিকদের কাছেও সহযোগিতা প্রার্থনা করেছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল রাতেই রাজ্য পুলিশে একাধিক রদবদলের কথা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার জায়গায় আনা হয়েছে রাজেশ কুমারকে। বিধাননগরের সিপি জ্ঞানবন্ত সিংয়ের জায়গায় আনা হচ্ছে এন রমেশবাবুকে। সরানো হয়েছে বীরভূম ও ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপারকেও। বীরভূমে নতুন পুলিশ সুপার হলেন আভান্যু রবীন্দ্রনাথ। ডায়মন্ড হারবারে শ্রীহরি পাণ্ডে। এর পরই এই চার পুলিশকর্তার বদলি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে নবান্ন। পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, কমিশন কোনও আলোচনা ছাড়াই এই কাজ করেছে। তার জন্যই চিঠি দেওয়া হচ্ছে কমিশনকে।
ছবি: পিন্টু প্রধান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.