প্রতীকী ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে সদ্যোজাত মৃত্যুহার অনেকটা কমছে। ২০২২-এর তুলনায় গত বছরে ১ বছরের কমবয়সি শিশুদের মৃত্যুহার কমেছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ)-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সঙ্গে স্বাস্থ্যভবনের ভিডিও বৈঠক হয়। বৈঠকে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সরকারি হাসপাতালের সিক বর্ন কেয়ার ইউনিটে এক বছর আগের তুলনায় এখন প্রতি হাজার ভূমিষ্ঠ শিশুর মধ্যে মৃত্যুহার ১৯ থেকে কমে ১৮ হয়েছে। যদিও এ নিয়ে সরকারিভাবে ঘোষণা হয়নি। জানানোর কথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের।
অবশ্য আলোচনায় পরিকাঠামোর অভাবের পাশাপাশি বেশ কিছু হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবের কথাও উঠে এসেছে। আলোচনা হয় কিছু হাসপাতালে পর্যপ্ত শয্যার ঘাটতির কথাও। ফলে জেলা ও মহকুমা স্তরের বেশ কিছু হাসপাতালকে শয্যার অভাবেই সদ্যোজাত কিংবা শিশুদের অন্যত্র রেফার করার প্রসঙ্গও ওঠে। আবার কিছু হাসপাতালের তরফে বৈঠকে বলা হয়, জেলা ও মহকুমা স্তরের বেশি কিছু ছোট ও মাঝারি নার্সিংহোমে জন্মানো শিশুর অবস্থা খারাপ হলে পরিকাঠামোর অভাবে নার্সিংহোমগুলি সেই সব অসুস্থ নবজাতককে মহকুমা কিংবা জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এতে বেডের সমস্যা বাড়ছে। চাপ বাড়ছে কলকাতার হাসপাতালে।
যেমন ফুলবাগানের বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। সেখানের এসএনসিইউ-তে চিকিৎসাধীন শিশুদের অধিকাংশই জেলা থেকে রেফার হয়ে আসা। ফলে বিসি রায়তেও শয্যার অভাব প্রকট। তাই সেখানে শয্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মুশকিল হল, ফুলবাগানের ক্যাম্পাসেও রয়েছে স্থানাভাব। ফলে বেড বৃদ্ধির কাজটাও সহজ হবে না বলে মনে করছেন হাসপাতাল কর্তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.