ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত শহর কলকাতা৷ আর শহরের এই পরিস্থিতি নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুক্রবার রাতে নিউ আলিপুরে দলীয় এক কাউন্সিলরের ছেলের বিয়েতে গিয়ে, এলাকার জলমগ্ন চেহারা দেখে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ এই জল জমার কারণ হিসাবে রেলকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি৷
[ আরও পড়ুন: ‘বৃষ্টি না হলে খুব শীঘ্রই বদলাবে পরিস্থিতি’, আশ্বাস মেয়র ফিরহাদ হাকিমের]
জানা গিয়েছে, শুক্রবার নবান্ন থেকে বেরিয়ে সোজা ১৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ ওরফে বুয়া ঘোষের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ছেলের বউকে আশীর্বাদ করতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের বাড়িতে ঢুকতেই এলাকার জল থই থই চিত্র দেখতে পান তিনি৷ এতে সাধারণ মানুষের যে অসুবিধা হচ্ছে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেত্রী৷ এরপরই অভিযোগ করেন, রেল এবং মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের জন্যই এই জল জমার সমস্যা হচ্ছে৷ তিনি জানান, রেল ব্রিজের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না৷ একই সঙ্গে, দীর্ঘদিন ধরে মেট্রো রেলেরও কাজ চলছে৷ সেই কারণেই এত জল জমছে৷
[ আরও পড়ুন: একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা, ব্যাহত সড়ক ও রেল পরিষেবা ]
অন্যদিকে, শনিবার সারাদিন কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বৃষ্টির জেরে হাওড়ার কারশেডে জল জমে রেল পরিষেবা ব্যহত হয়েছে। বাতিল হয়েছে বর্ধমান মেন লাইনের ছ’টি ট্রেন। এছাড়া শ্রীরামপুর, শেওড়াফুলি ও বেলুর মঠ লোকাল বাতিল করা হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। তার উপর ভরা শ্রাবণে এখন সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। এই দুইয়ের জোড়া ফলায় বৃষ্টি নেমেছে ঝমঝমিয়ে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় শুক্রবার বিকেল থেকেই মুষলধারায় বৃষ্টি নামে। জল জমে যায় কলেজ স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ, মহাত্মা গান্ধী রোড, ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট এবং বড়বাজার এলাকায় বড় অংশে৷ রাতভর বৃষ্টিতে কোমর সমান জল জমেছে আলিপুর, একবালপুর, বেহালার মতো জায়গায়। ফলে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ এই অবস্থায় কলকাতা পুরসভার পাম্পিং স্টেশনগুলির কাজের গতি দেখতে ময়দানে মেনেছেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম৷ দ্রুত জল নামানোর কাজ শেষ হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.