ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা চিকিৎসার জন্য রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করলেই মাথায় হাত পড়ছে পরিবারের। কারণ দু-চারদিন রোগী থাকলেই হাতপাতালের তরফে মোটা অঙ্কের বিল হাতে ধরানো হচ্ছে। আর ঠিক এই কারণেই একটি নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। এবার করোনা (coronavirus) নিয়ে নয়া অ্যাডভাইজরি জারি করল স্বাস্থ্য কমিশন। জানিয়ে দেওয়া হল, রোগী ভরতির সময় ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থ নেওয়া যাবে না।
করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের অ্যাডভাইজরিতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রথমত বলা হয়েছে, ভরতির সময় ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। কীরকম খরচ হতে পারে, তার একটা আন্দাজ দিতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। সেই অনুযায়ী খরচের ২০ শতাংশ নেওয়া যাবে চিকিৎসার শুরুতে। অর্থাৎ ১ লক্ষ টাকা সম্ভাব্য বিল হলে রোগীর থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
দ্বিতীয়ত, টাকার জন্য রোগীকে ফেলে রাখা যাবে না। তৎক্ষণাৎ ভরতি নিয়ে চিকিৎসা শুরু করে ফেলতে হবে। অগ্রিম জোগাড়ের জন্য পরিবারের সদস্যদের অন্তত ১২ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। তবে ১২ ঘণ্টার মধ্যেও পরিবার অর্থ জোগাড় করতে না পারলে পরের ১ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে ছেড়ে দিতে পারে হাসপাতাল। সেই বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাদের।
তৃতীয়ত, হাসপাতালে রোগীর টেস্টে ২ হাজার টাকার বেশি খরচ হলে, সেক্ষেত্রে আগাম লিখিতভাবে রোগীর পরিবারকে দিতে হবে। কোনও পরীক্ষা একাধিকবার হলে, তাও লিখিত আকারে জানাতে হবে। কেন হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। তবে জরুরিভিত্তিক চিকিৎসায় এই বিষয়গুলির আবশ্যক নয়।
চতুর্থত, রোগীর পরিবারকে ব্যাংকের মাধ্যমে মেটাতে হবে চিকিৎসার খরচ। অনলাইন লেনদেন কিংবা চেকে হাসপাতালকে টাকা মেটাতে হবে। যদি একান্তই তাতে অপারগ হন বাড়ির লোকেরা, তাহলেই নগদ টাকা দেওয়া যাবে।
এর পাশাপাশি হাসপাতালে রোগীর জন্য কোনও খাতে কী খরচ হচ্ছে, তার প্রতিদিন এসএমএসের মাধ্যমে পরিবারকে জানাতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে স্বাস্থ্য কমিশনের অ্যাডভাইজরিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.