শুভঙ্কর বসু: ভাইরাস রাজনীতির রং দেখে না। এমনকী এর বিস্তারের ভৌগলিক পরিসীমাও নেই। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে হাতে হাত মিলিয়ে এই মারণ ভাইরাসকে পরাস্ত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় এমনই মন্তব্য করল প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চের (আইপিএমআর) গাইডলাইন মেনে সংক্রমণ পরীক্ষা এবং করোনা যোদ্ধা তথা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা পর্যাপ্ত সংখ্যায় পিপিই পাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে একটি রিপোর্ট দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় হু এবং আইসিএমআর এর গাইডলাইন মানা হচ্ছে না। এই অভিযোগে এপ্রিলের গোড়াতেই কলকাতা হাই কোর্টে বেশ কয়েকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। একাধিকবার সেই মামলার শুনানি হয়েছে। মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ফের মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও সে প্রসঙ্গ দূরে রেখে আদালত জানিয়ে দেয়, ভাইরাসকে পরাস্ত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য যদি হাতে হাত মিলিয়ে কাজ না করে তাহলে আশানুরূপ ফল লাভ সম্ভব নয়। তাই এই পরিস্থিতিতে উভয় সরকারকেই সদিচ্ছার সঙ্গে পদক্ষেপ করতে হবে।
যেহেতু করোনা কোনও একটি রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, তাই এটিকে ন্যাশনাল হেল্থ চ্যালেঞ্জ হিসেবেই ধরে নিতে হবে। এরপরই অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ইতিমধ্যেই এ রাজ্যে যেহেতু দুই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়ে গিয়েছে, তাই করোনা যোদ্ধা অর্থাৎ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। তারা যাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই পান তা নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রও এ বিষয়ে নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারে না। এরপরই গাইডলাইন মেনে করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা এবং পিপিই-র পর্যাপ্ততা নিয়ে দুই সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করে ডিভিশন বেঞ্চ। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ওই দিন ফের হবে মামলার শুনানি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.