ফাইল ছবি।
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: গোটা দিন পেরিয়ে গেলেও মেডিক্যাল কলেজের বিক্ষোভ এখনও চলছে। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছে নকশালরা। কর্তৃপক্ষ বারবার বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার আরজি জানাচ্ছে। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় আন্দোলনকারীরা।
মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন (Student’s Union Election) স্থগিত করে দেওয়া নিয়ে সোমবার রাত থেকে অশান্তির সূত্রপাত। আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা স্থগিত করে দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন (Swasthya Bhaban)। সেই খবর পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। ভোট করানোর দাবিতে অনড় তাঁরা। অভিযোগ, নিজেদের দাবিপূরণ করতে রাতেই মেডিক্যাল কলেজের সুপারকে ঘেরাও করে একদল জুনিয়র চিকিৎসক (Junior doctors)। মঙ্গলবার সন্ধে পেরিয়ে গেলেও তিনি ঘেরাওমুক্ত হননি। এই বিক্ষোভের জেরে আংশিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে রোগী পরিষেবা।
এদিন দফায় দফায় ফোন করে পরিস্থিতির খোঁজ নেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। সমস্ত আপডেট সংগ্রহ করেছেন তিনি। তবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য অর্থাৎ যিনি নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন তাঁকে এদিন ফোনে পাওয়া যায়নি। সংবাদ প্রতিদিন-এর তরফে তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় সংবাদ প্রতিদিন-কে বলেন, আন্দোলনের মদত দিচ্ছে নকশালরা। তাঁর আরও অভিযোগ, কলেজের সঙ্গে যুক্ত নন এমন অনেকেই নাকি পিছন থেকে ইন্ধন দিচ্ছে। এর পাশাপাশি অবিলম্বে বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার আরজিও জানা তিনি। সুদীপ্তবাবুর কথায়, “যারা বিক্ষোভ করছেন তাঁদের অভিভাবকদেরও নৈতিক দায় রয়েছে। ছেলে মেয়েদের পঠন পাঠন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আন্দোলন থেকে পড়ুয়াদের বিরত করান। এদিকে কলেজের বিক্ষোভকারীদের একাংশের কথায়, “আমাদের না পেয়ে মা-বাবাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।”
এই আন্দোলন প্রসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডাঃ অঞ্জন অধিকারী জানিয়েছেন, “এর আমার সন্তান তুল্য। কষ্ট হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু কোনওভাবে কলেজে পুলিশ ডাকব না।” প্রসঙ্গত ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও বিক্ষোভ তোলার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি বলেই খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.