রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নয়, রাজ্যে বিধানসভাভিত্তিক জনসভার ক্ষেত্রে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেই বেশি দায়িত্ব দিল দিল্লি। ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই একটি করে সভা অর্থাৎ ২৯৪টি সভার মধ্যে সুকান্ত করবেন ৭০টি জনসভা। সুকান্তর অর্ধেকেরও কম ৩০টি সভা করবেন শুভেন্দু। মোদি সরকারের ন’বছর পূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য প্রচারে দেশজুড়ে প্রচারে নেমেছে বিজেপি।
বাংলাতেও শুরু হয়েছে কর্মসূচি। রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক ১৩০০’র বেশি মণ্ডল কমিটি রয়েছে। মণ্ডলে ১ হাজার সভা হওয়ার কথা। তার মধ্যে ২৯৪টি বিধানসভা এলাকায় ২৯৪টি সভা হবে। সেই মতো সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপ ঘোষদের সভার সংখ্যা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন, জনসভাতে সুকান্তর উপরই কি বেশি আস্থা রাখছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এছাড়াও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এ রাজ্যের সাংসদ ডা. সুভাষ, সরকার, শান্তনু ঠাকুর, থেকে শুরু করে লকেট চট্টোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়রাও জনসভা করবেন। এদিকে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চাপ থাকলেও প্রখর রোদের তাপে মণ্ডলভিত্তিক সভার সংখ্যা আপাতত কমিয়ে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। প্রতিদিন দু’টি করে জনসভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য বিজেপি সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দিলেন, ‘‘আমার একার পক্ষে এত সভা সম্ভব নয়। চরম গরমে দিনে দু’টো করে সভা সম্ভব হচ্ছে না। তাই একটা করে করছি। আরও নেতৃত্বকে সভা করতে হবে।’’
উল্লেখ্য, সবচেয়ে বেশি সভা করার কথা রয়েছে সুকান্তর। তারপর শুভেন্দু ও দিলীপের। এদিকে, ৯ জুন রাজ্যে সভা করতে আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সূত্রের খবর, মোদি চলতি সপ্তাহে আসছেন না। প্রবল গরমের জন্যই কয়েকদিন পরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে।
শিলিগুড়িতে সভা করতে পারেন মোদি। এদিকে, রাজ্য বিজেপির একাংশের বক্তব্য, গরম অবশ্যই কারণ। কিন্তু ১ হাজার জনসভা করার মতো সাংগঠনিক শক্তি বা কর্মী-সমর্থক জড়ো করাও অন্যতম কারণ। সুকান্ত-দিলীপ ঘোষরা একা সামলানোর চেষ্টা করলেও অনেক নেতাকেই সক্রিয়ভাবে মাঠে ময়দানে পাওয়া যাচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.