সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারদ কাণ্ডে এবার তদন্তের গতি বাড়াতে চাইছে সিবিআই। সেই মর্মে এবার স্টিং অপারেশনে অভিযুক্ত ১১ বিধায়ক ও সাংসদকে সমন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, অপরূপা পোদ্দার, সৌগত রায়ের। রয়েছেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নামও। প্রত্যেককেই নোটিস পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। কিন্তু এই তালিকায় নাম নেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেককে আলাদা আলাদা বসিয়ে জেরা করার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে তাঁদের।
সম্প্রতি, নারদকাণ্ডে স্টিং অপারেশনের তদন্তে নেমে ২৭ আগস্ট মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় স্যামুয়েল ও কেডি সিংকে। সেই জেরায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্যামুয়েলের দাবি, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর স্টিং অপারেশন করতে বলেন কেডি সিং। সেই কারণেই তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন কেডি। সেই তথ্য প্রথমে অস্বীকার করেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। কিন্তু স্টিং অপারেশন সংক্রান্ত একটি মেসেজ গোয়েন্দারা দেখানোর পর মুখে কুলুপ আঁটেন কেডি। তদন্তে উঠে এসেছে, শুধু অভিষেকই নন, প্রত্যেকের উপরই স্টিং অপারেশন হয়েছে কেডি সিংয়ের নির্দেশেই। এমনটাই দাবি ম্যাথু স্যামুয়েলের।
কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভাবে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নোটিস দিলেও মুকুল রায় কেন বাদ গেলেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন। শোনা যাচ্ছে, মুকুল রায়কে আগেই নাকি জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। তাঁকে প্রয়োজনে পরে হয়তো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.