রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কানাঘুষো চলছে। তিনি বর্তমানে বিজেপিতে আছেন কি না, তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এসব নিয়ে বিজেপি সরাসরি কিছু বলেনি ঠিকই, তবে এবার আচরণে বুঝিয়ে দিল যে কোনও মুহূর্তে রাজীবকে দল থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে দল।
বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Elections) যাবতীয় কাজ করেছিল হেস্টিংসের কার্যালয় থেকে। পরবর্তীতে সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয় কার্যালয়। তবে হেস্টিংস মোড়ের ওই বহুতলের পাঁচতলার অডিটোরিয়াম এবং ন’তলার ঘরগুলি অবশ্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। ন’তলায় ছিল দিলীপ ঘোষের ঘর। পাশেই ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর। বাইরে ছিল তাঁর নামের ফলক। রাজীবকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চললেও হেস্টিংসের কার্যালয়ে ৮১১ নম্বর ঘরটি তাঁরই ছিল।
তবে রবিবার মধ্যরাতে হেস্টিংসের কার্যালয়ে ৮১১ নম্বর ঘর থেকে সরানো হল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের ফলক। বর্তমানে ওই ঘরের বাইরে কোনও নেমপ্লেট নেই। জানা যাচ্ছে, নির্বাচনের কাজ করা হবে সেখানে। কিন্তু কেন হঠাৎ সরানো হল রাজীবের নেমপ্লেট? বিজেপি সূত্রে খবর, দলের নির্দেশেই সরানো হয়েছে ফলক। এই ঘটনাতেই স্পষ্ট যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোটেও গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি। বরং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে কোনও মুহূর্তে সরিয়ে ফেলা হতে পারে দলের তরফেই।
বিধানসভা ভোটের আগে নিজের একাধিক ক্ষোভ নিয়ে কয়েক দফায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের আলাপ-আলোচনার দলে থাকতে রাজি হননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে গিয়ে অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী। নিজের এলাকা ডোমজুড় থেকে বিজেপির প্রার্থীও হন। কিন্তু ভোটযুদ্ধে সফল হতে পারেননি। ভোটে হারের পর থেকেই তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার নানা পোস্টে। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকাশ করছিলেন ক্ষোভ। যার জেরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এবিষয়ে এখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি বিজেপি। তবে বিজেপির নেমপ্লেট সরানোর সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট যে, রাজীবকে দলে রাখার চেষ্টা করতে নারাজ বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.