ছবি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঈশ্বরের আপন দেশ। মানুষের হাতে যেন জাদুকাঠি রয়েছে। যাঁর ছোঁয়ায় প্রতিপালিত হয় নানা শিল্পকর্ম। এমন কিছু শিল্পকীর্তিকেই বাংলার মানুষের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে নাগেরবাজার সর্বজনীন। শতবর্ষের এই কাজের দায়িত্ব নিয়েছেন অভিষেক ভট্টাচার্য। প্রফেশনের তাগিদে নয়, প্যাশনে এবার দুর্গাপুজোর শিল্পী তিনি। সেই প্যাশন থেকেই থিম কেরলে সাজিয়ে তুলতে চান নাগেরবাজার সর্বজনীনের শতবর্ষের পুজো। কিন্তু বাধ সেধেছে প্রকৃতি। বানভাসী কেরল। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা চারশো ছাড়িয়েছে। জলের তলায় একাধিক এলাকা। বিপর্যয়ের এই আঘাত থেকে রেহাই পাননি পুজোর শিল্পীরাও। কেউ আটকে রয়েছেন হাঁটুজলে, কারও পুরো বাড়ি, কাজের জায়গাই জলের তলায়। পুজোর কী হবে? সে চিন্তা মাথায় নিয়েও শিল্পীদের পাশে নাগেরবাজার সর্বজনীন। পুজোয় এবার তাদের স্লোগান, কেরলই হোক ১০০/১০০। ‘বলো দুগ্গা মাইকি’ বলেই শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে পুজো কমিটি। তাঁদের সাহায্যের জন্য পারিশ্রমিকের পাশাপাশি সাহায্যার্থ দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
[ক্যানসার বধের সংকল্প নিয়ে বাঘাযতীনের পুজোয় তাবড় অঙ্কোলজিস্টরা]
টালা বারোয়ারি পুজোর সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ভট্টাচার্য। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাংলার দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত তিনি। সেই অভিজ্ঞতাকে হাতিয়ার করেই এই প্রথমবার শিল্পী হিসেবে নাগেরবাজার সর্বজনীন পুজোর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন কেরলের চার সেরা শিল্পকীর্তিকে। যার মধ্যে রয়েছে থাইয়াম, কুচিপুড়ির মতো নৃত্যকলা। যা ভেবেছেন তার জন্য কেরলের চার জায়গার শিল্পীদের বরাত দিয়েছিলেন মাস ছয়েক আগে। তখনও জানতেন না কী বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে ফোনে অভিষেকবাবু জানান, প্রায় দিনই শিল্পীদের ফোন আসছে। ভাষার কিছু সমস্যা থাকলেও তাঁদের দুশ্চিন্তা, আবেগ বুঝতে পারছেন। যে চার জায়গায় বরাত দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে একটি জায়গা কেবল ঠিক আছে। বাকি তিনটি জায়গার দু’টিতে হাঁটুজলের মধ্যে রয়েছেন শিল্পীরা, আর একটিতে তো পুরো বাড়ি জলের তলায়। চার জায়গা থেকে মণ্ডপের সামগ্রী এক জায়গায় এসে জড়ো হওয়ার কথা ছিল। তারপর সেখান থেকে কলকাতায় আনা হত। কিন্তু মাত্র দুই জায়গা থেকেই সামগ্রী এসেছে। প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ শিল্পী বিপাকে পড়েছেন। এঁদের আবার কলকাতাতেও এসে কাজ করার কথা রয়েছে। প্রত্যেকে কলকাতায় এলে তাঁদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক তো দেওয়া হবেই পাশাপাশি সংগৃহীত অর্থও সাহায্য হিসেবে হাতে তুলে দেওয়া হবে। এভাবেই সার্থক হয়ে উঠবে শতবর্ষের আনন্দ।
[ব্লাউজে বাহার, পুজোর আগে জেনে নিন কোনটি আপনাকে মানাবে]
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, বাদামতলা আষাঢ় সংঘও। সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখেই দান সংগ্রহের বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা। আগস্ট মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে দান গ্রহণের পালা। চলবে ২৫ তারিখ পর্যন্ত। সকাল ১১টা থেকে ১টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত ক্লাব প্রাঙ্গনে প্রয়োজনীয় সমগ্রা দান করা যাবে। অর্থ, জামাকাপড়, ওষুধ, শুকনো খাবার দেওয়া যাবে। ২৬ আগস্ট আষাঢ় সংঘের সদস্যরা ত্রাণ সংগ্রহে বেরোবেন সমস্ত এলাকায়। সংগৃহীত সামগ্রী মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ সংগ্রহতে পৌঁছে দেওয়া হবে। সেখান থেকে তা পৌঁছে যাবে কেরলের বন্যাদুর্গতদের কাছে। ক্লাবের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও অর্থ পাঠিয়ে সাহায্য করা যাবে। নিম্নলিখিত অ্যাকাউন্টে-
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.