গৌতম ব্রহ্ম: নাগেরবাজার বিস্ফোরণ কাণ্ডে চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ তুললেন মৃত শিশুর বাবা৷ বিস্ফোরণের পর গুরুতর অসুস্থ দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াকে চিকিৎসা না করে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দমদম এলাকার দু’টি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে৷ জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীকে চিকিৎসা না করিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার জেরেই সাত বছরের বিভাসকে প্রাণ হারাতে হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন মৃতের বাবা জনবিজয় ঘোষ৷
মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মৃত শিশুর বাবা জনবিজয় ঘোষ বলেন, ‘‘সঠিক সময়ে চিকিৎসা করানো গেলে বাঁচানো যেতে ছেলেকে৷ বিস্ফোরণের পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দু’দুটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসা না করিয়ে আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়৷ বারংবার অনুরোধ করলেও কান দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ পরে দু’টি বেসরকারি হাসপাতাল ঘোরার পর এসএসকেএমে ভরতি করা হয়৷’’ কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি৷ চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া বিভাস৷
[নাগেরবাজারে বিস্ফোরণের বলি শিশু, সিআইডির কাছে তথ্য চাইল এনআইএ]
মঙ্গলবার ছুটির দিনে মায়ের সঙ্গে বেরিয়েছিল ছোট্ট ছেলেটি৷ কিন্তু, পথে বেরিয়ে আচমকা বিস্ফোরণে নিজের সন্তানকে খোয়াতে হবে, তা এখনও ভাবতেই পারছেন না মা বাসন্তী দাস ওরফে সীতা৷ বিস্ফোরণে ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ আপাতত সংকটজনক পরিস্থিতি না হলেও বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷ অভিযোগ, এদিনও তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোম ঘুরিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷
[প্রয়াত আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদ অনিল বসু]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় পরিচারিকার কাজ করতেন সীতাদেবী৷ ছুটির দিন বলে ছেলেকে নিয়ে কাজে বেরিয়েছিলেন৷ আগামী শুক্রবার ছিল বিভাসের জন্মদিন৷ ধুমধাম করে ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান করার প্রস্তুতিও ছিল তাঁদের৷ জন্মদিনের অনুষ্ঠান নিয়ে তুমুল কৌতূহল ছিল ছোট্ট বিভাসের মধ্যে৷ কিন্তু, আজ সকাল ঠিক সাড়ে ন’টায় আচমকা বিস্ফোরণে সবকিছুই ভেস্তে গেল ঘোষ পরিবারের৷ নিজের সন্তানকে হারিয়ে অসুস্থ স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে হাসপাতালেই প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন জনবিজয়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.