সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আনলক ওয়ানে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। শহর থেকে শহরতলি, জেলায় করোনা সংক্রমণ যেন কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসের কবল থেকে রক্ষা পায়নি নবান্নও। রাজ্যের প্রশাসনিক দপ্তরের অন্দরমহলেও হানা দিয়েছে ভাইরাস। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন আমলা, আধিকারিকদের চারজন গাড়িচালক। তাঁরা নবান্নের ১৪ তলাতেই বসেন। আর সেখানেই বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছে তাঁর সচিবালয়ও। তাই চিন্তিত প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন নবান্ন জীবাণুমুক্ত করার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের এক কর্তা এবং এক আধিকারিকের গাড়িচালকের শরীরে করোনা সংক্রমিত হয়। সেই তালিকাতেই এবার জুড়ল এক কর্তার সহকারি গাড়িচালকের নাম। কারণ, তাঁর শরীরেও থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। মুখ্যসচিবের দপ্তরের এক আমলার গাড়িচালকও করোনা আক্রান্ত। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। আমলার সহকারি গাড়িচালকের নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ওই আমলাও রয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে।
সাধারণত আমলাদের নবান্নে পৌঁছে দেওয়ার পর ফাঁকাই থাকেন গাড়িচালকেরা। তাঁরা একই জায়গায় বসে সকলে মিলে গল্পগুজব করেন। খাওয়াদাওয়াও করেন। তাই একজনের মাধ্যমে আরেকজনের শরীরে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া আক্রান্ত চার গাড়িচালক ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের কাছে বসতেন। তাই সচিবালয়ের আধিকারিকদের সংস্পর্শে তাঁরা এসেছেন কি না, তাও স্পষ্ট নয়। তার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে অনেকটাই। আপাতত সুরক্ষার স্বার্থে অতিথিদের জন্য চা-খাবার সরবরাহকারী ক্যান্টিনও বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন অন্তত ২-৩ বার করে নবান্ন জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। নবান্নের উত্তর এবং তার পাশের দরজায় বেসিন রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে জল এবং সাবানও। সেখানে হাত ধুয়ে ভিতর প্রবেশ করতে হচ্ছে সকলকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.