সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মাথা ঝোঁকাবেন না’, রাজ্যের তিন আইপিএস-কে ডেপুটেশনে চেয়ে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি জারির বিরোধিতা করে অফিসারদের এমনই পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোঝাই গিয়েছিল, লড়াই তীব্রতর হবে। সেটাই এবার হতে চলেছে। মাথা নত না করে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের সুর আরও চড়িয়ে এবার আইপিএস ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হতে চলেছে নবান্ন, সূত্রের খবর এমনই।
গত সপ্তাহে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্য সফর চলাকালীন তাঁর কনভয়ে হামলার ঘটনা থেকে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। রাজ্যের তরফে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। নাড্ডার নালিশ শুনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তার পরেরদিনই রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে তলব করা হয়। কিন্তু সেই তলবে সাড়া দিয়ে কেউ দিল্লি যাননি। পাঠিয়ে দিয়েছেন বিস্তারিত রিপোর্ট। ধীরে ধীরে এই ঘটনার জল গড়ায় বহু দূর। এবার তা সুপ্রিম কোর্টের দুয়ারে।
নাড্ডার কনভয়ের হামলার ঘটনার পরপরই রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসার – রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠি, ভোলানাথ পাণ্ডেকে বদলির নির্দেশ দেয় দিল্লি। তবে তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিতে নারাজ নবান্ন। দু’বারই কেন্দ্রের চিঠির উত্তর রাজ্য স্পষ্ট করে দেয় নিজের অবস্থান। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ আইপিএস ক্যাডার রুল – ১৯৫৭’এর পরিপন্থী। এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কেন্দ্রের বিরোধিতায় টুইট বার্তা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।
এমনই দ্বন্দ্বের আবহে শুক্রবার ফের দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল মুখ্যসচিব, ডিজিপিকে। কিন্তু করোনা আবহে তাঁরা দিল্লি যেতে চাননি। তাই নবান্নের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, এদিন বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে তাঁরা ভারচুয়াল বৈঠকে বসবেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে কেন্দ্র। তবে তারই মধ্যে আইপিএস অফিসারদের রাজ্যে রাখার সুরক্ষা কবচ হিসেবে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করে রাজ্য। সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন রাজ্যের আইনজীবীরা। ফলে আইপিএস ইস্যু যে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে দিল নবান্ন (Nabanna)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.