ফাইল ছবি।
গৌতম ব্রহ্ম: রাজ্য সরকারের ল্যান্ড ব্যাঙ্কের জমির কোনও অংশ জবরদখল হয়েছে কী না বুঝতে জেলায় জেলায় জরিপ শুরু করল রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। চলতি সপ্তাহে বিভাগীয় সচিব বিবেক কুমার জেলাশাসক ও বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানেই পেশ করা হবে জেলাভিত্তিক জমি জরিপের রিপোর্ট। তারপর এই ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে। মঙ্গলবার নবান্ন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
রাজ্যজুড়ে সরকারি জমি বেদখল হওয়া সম্প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিনিয়র আইএএস অফিসার বিবেক কুমারকে সবটা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ারও নির্দেশ দেন। এমনকী সরকারি জমি জবরদখলে অভিযুক্ত উত্তরবঙ্গের এক দলীয় নেতাকেও গ্রেফতার করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। তারপরই নড়েচড়ে বসে নবান্ন। ল্যান্ড ব্যাঙ্কের জমি নিয়ে জেলাশাসকদের জরিপ রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেন বিবেক কুমার। মুখ্যমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় ভূমি আধিকারিকদের। সেই পথে হেঁটেই এবার জেলায় জেলায় জরিপের কাজ শুরু করল রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ল্যান্ড ব্যাঙ্কের জমির কলেবর বৃদ্ধি নিয়ে তৎপর হন। শিল্পের জমির সমস্যা মেটাতে ল্যান্ড ব্যাঙ্কে আরও বেশি জমি যুক্ত করেন। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সরকারের জমানায় এখনও পর্যন্ত শিল্প দফতর এবং রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমকে প্রায় ৬ হাজার একর জমি হস্তান্তর করা হয়। বাকি জমির কিছুটা অংশ ভূমিহীনদের মধ্যে বিলি করা হয়। পাট্টা দেওয়া হয়। এখনও অনেক জমি রয়েছে ল্যান্ড ব্যাঙ্কে। সেগুলির কী অবস্থা, কোনও অংশ বেহাত হয়েছে কী না, খতিয়ে দেখার জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে নবান্নে।
নবান্ন সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে ভূমি সচিব রাজ্য ও জেলা স্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন। জেলা আধিকারিকেরা বৈঠকে যোগ দেবেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। সরকারি জমি জরিপের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ঠিক হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.