Advertisement
Advertisement
Nabanna

মাল নদীতে দুর্ঘটনার রিপোর্ট তলব করল নবান্ন, বিসর্জনে দুর্ঘটনা এড়াতে জারি কড়া নির্দেশিকা

দুর্ঘটনার জেরে বাতিল জলপাইগুড়ির পুজো কার্নিভাল।

Nabanna sought report on Malbazar disaster, issues guidelines for immersions | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 6, 2022 4:46 pm
  • Updated:October 6, 2022 5:34 pm  

গৌতম ব্রহ্ম: ডুয়ার্সের মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় দুর্ঘটনার জেরে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। মাল নদীতে (Mal River) এই দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল? পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল কিনা, প্রশাসনিক স্তরে কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, সেসব নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চাইল নবান্ন (Nabanna)। শুধু তাই নয়, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে রাজ্যজুড়ে বিসর্জন নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার।

মালের দুর্ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwivedi) নবান্ন থেকে একটি ভারচুয়াল বৈঠক করেছেন। যে সব এলাকায় হড়পা বান হওয়ার প্রবণতা আছে বা দুর্ঘটনাপ্রবণ ঘাটগুলিতে বিসর্জনের সময় কড়া সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। দুর্ঘটনাপ্রবণ ঘাটগুলিতে বিসর্জনের সময় জেলাশাসক (DM) এবং মহকুমাশাসকদের উপস্থিত থাকতে হবে। সব বিসর্জনের ঘাটেই প্রশাসনের নীচুস্তরের আধিকারিকদের প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় সশরীরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। কোনওরকম ঝুঁকি আছে, তেমন কাজ করা যাবে না। বিসর্জনের সময় কেউ যাতে নদীতে না নামতে পারেন, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাল নদীর হড়পা বানে স্বজনহারাদের পাশে কেন্দ্র ও রাজ্য, আর্থিক সাহায্য ঘোষণা]

বুধবার খাতায়-কলমে বিজয়া দশমীর রীতি শেষ হলেও প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রক্রিয়া এখনও বহু জায়গাতেই বাকি রয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে বড় বাজেটের পুজোগুলিতে সম্প্রতি দশমীর পরও প্রতিমা মণ্ডপে রেখে দেওয়ার চল শুরু হয়েছে। ফলে জেলাগুলিতে আরও দু’দিন চলবে নিরঞ্জন। তাতে যাতে আর কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে সবরকম পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার।

[আরও পড়ুন: প্রশাসনিক গাফিলতিতেই বিপদ? মাল নদীতে হড়পা বানে প্রাণহানির ঘটনায় প্রশ্নের ভিড়]

বস্তুত, মালের দুর্ঘটনার পরই রাজ্যজুড়ে বিসর্জনের ক্ষেত্রে কড়া নবান্ন। মালের দুর্ঘটনাগ্রস্তদেরও যাতে কোনওরকম সমস্যায় পড়তে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের সহায়তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই একটি টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা এবং জখমদের চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। স্থানীয় প্রশাসনও ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সবাইকে উদ্ধার করা গিয়েছে। উদ্ধারকাজে কোনওরকম গাফিলতি ছিল না বলেও দাবি করা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। এদিকে এই দুর্ঘটনার জেরে জলপাইগুড়ি জেলার পুজো কার্নিভাল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement