সন্দীপ চক্রবর্তী: প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ যাতে পুরোটা খরচ হয় এবং ফেরত না যায়, তার জন্য প্রতিটি দপ্তরকে সময় বেঁধে দিল নবান্ন। বুধবার এই মর্মে নির্দেশনামা জারি হয়েছে। প্রতি অর্থবর্ষের শেষের দিকেই দেখা যায় যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে একেবারে শেষবেলায় খরচের হিড়িক পড়ে যায় সব দপ্তরের মধ্যে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সামঞ্জস্য যেমন নষ্ট হয় তেমনই তাড়াহুড়োয় ভুলভ্রান্তির আশঙ্কাও থেকে যায়। নবান্নের অর্থদপ্তর এ ব্যাপারে কড়া অবস্থান নিয়েছে। বোঝানো হয়েছে যে কোনওরকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না। তেমনই মানুষের উন্নয়নের যে টাকা খরচ হওয়ার কথা, তা যেন সঠিকভাবে এবং পুরোটাই ঠিক সময়ে খরচ করতে হবে। খরচের ক্ষেত্রেও সবরকম স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে বলে বার্তা নবান্নর।
পাশাপাশি মার্চ মাসের জন্য সরকারি কর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রন্থাগার, পঞ্চায়েতের কর্মীদের বেতন ও মাসিক ভাতা বা মজুরি ও পেনশন ২ এপ্রিলের মধ্যে দেওয়া হবে। সব দপ্তরকে নির্দেশ নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একসঙ্গে প্রচুর বিল জমা পড়লে সমস্যা তৈরি হতে পারে। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সেগুলি পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে। ট্রেজারি বা পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসে কোনও বিল বা চালান কত তারিখের মধ্যে পাঠাতে হবে, তার তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কর্মীদের বকেয়া, অবসরকালীন ভাতা বা টিএ বিল সংক্রান্ত বিষয়ও স্পষ্ট করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৮ মার্চের পর পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসে বা ট্রেজারিতে বিল পাঠানো যাবে না। ১৩ মার্চের মধ্যে যে বিলগুলি ফেরত দেওয়া হয়েছিল বা আপত্তি জানানো হয়েছে সেগুলি নতুনভাবে পাঠানোর শেষ তারিখ ১৭ মার্চ। স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, চেক বা শূন্য বিল (নিল বিলস) বা পিএল ট্রান্সফার স্টেটমেন্টের ব্যাক এন্ড ডেলিভারি কোনওভাবেই অর্থবর্ষ শেষ হলে আর নেওয়া যাবে না। অর্থ দপ্তরের নির্দিষ্ট সম্মতি না থাকলে কোনও অগ্রিমও নেওয়া যাবে না।
প্রকল্পের সামগ্রিক ১০০ শতাংশ খরচ ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কর্মী সংগঠনের নেতারা। তেমনই অবসরকালীন ভাতার প্রশ্নে উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান অল বেঙ্গল পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.