গৌতম ব্রহ্ম: ক্রমশ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং (Cyclone Sitrang)। কালীপুজোয় প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা। কীভাবে মোকাবিলা করা হবে পরিস্থিতি? রূপরেখা তৈরি করতে শুক্রবার সমস্ত দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক সারলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
শুক্রবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে নবান্নে (Nabanna) সব দপ্তরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে ছিলেন দক্ষিণের জেলাগুলির জেলা শাসক ও পুলিশ সুপাররাও। এখনও জানা যায়নি, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের গতিবেগ কত হবে, ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে। তবে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করে সেই মতোই এদিনের বৈঠকে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, ২০ টি এসডিআরএফ ও ১৫ টি এনডিআরএফ দলকে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কালীপুজোয় দুর্যোগের খবরে স্বাভাবিকভাবেই মন ভার আমজনতার। মাথার উপরের ছাউনি ফের হারাতে হবে না তো? এই প্রশ্ন ঘুরপাক করছে উপকূলের বাসিন্দাদের মনে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং শুরু করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এর পাশাপাশি বিপজ্জনক এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও খবর।
প্রসঙ্গত, ২৪ তারিখ অর্থাৎ সোমবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রূপ নেবে নিম্নচাপটি। হাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ হতে পারে বাংলা-বাংলাদেশের উপকূল। নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে ২৫ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে সিত্রাং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.