গৌতম ব্রহ্ম ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আলোর উৎসবে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। আতঙ্কের নাম ‘সিত্রাং’ (Cycole Sitrang)। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দীপাবলির দিন অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর বিধ্বংসী সাইক্লোন আছড়ে পড়তে পারে বঙ্গে। তার মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নের (Nabanna) তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য কালীপুজো ও দীপাবলিতে (Diwali) সরকারি কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হল। এই মুহূর্তে যাঁরা ছুটিতে রয়েছেন, তাঁদের ২২ অক্টোবরের মধ্যেই কাজে যোগ দিতে হবে। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্ন (Nabanna) থেকে। মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন, সব ছুটি বাতিল করে আগামিকাল অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করবেন।
কয়েকদিন আগে থেকেই সিত্রাংয়ের পূর্বাভাস শোনা যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন সকালেই উত্তর আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। বিকেল থেকেই নিম্নচাপটি ক্রমশ পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সরতে শুরু করবে। ২২ তারিখ অর্থাৎ শনিবার এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২৩ তারিখ অর্থাৎ রবিবার শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে তৈরি হবে।
ক্রমশ উত্তর দিকে সরে ২৪ তারিখ অর্থাৎ সোমবার ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’য়ের রূপ নেবে নিম্নচাপটি। হাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ হতে পারে বাংলা-বাংলাদেশের উপকূল। নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে ২৫ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ‘সিত্রাং’। ফলে কালীপুজোর পরদিন রাজ্যে ভয়াবহ দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হল। ফের একবার সর্বস্ব হারানোর আশঙ্কায় ভুগছে উপকূলের বাসিন্দারা। ‘সিত্রাং’য়ের (Cyclone Sitrang) প্রত্যক্ষ প্রভাব যদি বঙ্গে পড়ে, সেক্ষেত্রে মানুষকে কোথায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তাও ঠিক রাখতে বলা হয়েছে।
সবমিলিয়ে দুর্যোগের মোকাবিলা করতে আগেভাগেই কোমর বাঁধছে নবান্ন। এদিন ছুটি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি তারই প্রমাণ। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানবাজারে কালীপুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেন, ”আকাশের দিকে তাকাতে হচ্ছে, যেভাবে ফোরকাস্ট হচ্ছে। কালীপুজো খুব বৃষ্টি হবে। সব কর্মীদের ছুটি বাতিল। আগামিকাল অফিসারদের নিয়ে বৈঠক আছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.