আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের সপ্তাহ তিনেক হতে চলল। সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি। দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষে দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠছে সব মহলে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। বিচার চেয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan)ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’ নামে তথাকথিত অরাজনৈতিক সংগঠন। তবে তাদের নেপথ্যে বিজেপি-আরএসএস যোগ স্পষ্ট। পুলিশের অনুমতি ছাড়া এই কর্মসূচির আড়ালে রাজ্যকে অশান্ত করার ছক রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল। তাই পুলিশ অশান্তি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করে। ট্রাফিক সমস্যা এড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা ছিল লালবাজারের।
রাত ১১:৪৫ গ্রেপ্তার করা হল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের অন্যতম মুখ সায়ন লাহিড়ীকে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই কথা জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আজকের নাগরিক আন্দোলন দেখে কেঁপে গেছে নবান্ন। কর্মসূচি মিটতেই শুরু হয়ে গেল আরেক দফা ধরপাকড়। এবিপি আনন্দর স্টুডিও থেকে বেরোতেই পুলিশ তুলে নিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের অন্যতম মুখ সায়ন লাহিড়ীকে। পুলিশ দিয়ে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। pic.twitter.com/kZy3IOOKNb
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) August 27, 2024
রাত ৯.২৭: বিজেপির ডাকা বনধের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলা দায়ের।
রাত ৮.৩০: কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নবান্ন অভিযানে আন্দোলনে মোট ১০টি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়েছে। আন্দোলনের নামে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করা বেশ কয়েকজনের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের হামলায় মোট ২৫ জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন।
রাত ৮: ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে যাবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সন্ধে ৭.২৩: পাতালপথেও বিক্ষোভের আঁচ। পুলিশি হেনস্তার অভিযোগে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে বিক্ষোভ বিজেপির।
সন্ধে ৬.৩০: এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা বলেন, “যারা চক্রান্ত করেছে, দলমত নির্বিশেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষ ফাঁদে পা দেননি। আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।” বুধবার ধর্মঘটের নামে যারা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি এডিজি আইনশৃঙ্খলার।
সন্ধে ৬.২৮: কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, আন্দোলনকারীরা কোনও নিয়ম না মেনে তাণ্ডব চালিয়েছে।
সন্ধে ৬.২৪: বুধবার বিজেপির ডাকে রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট। বাংলাকে সচল রাখতে সমস্ত প্রশাসনিক বন্দোবস্ত থাকবে, জানালেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার।
সন্ধে ৬.২৩: এডিজি দক্ষিণবঙ্গের সন্দেহ, পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজের নেপথ্যে অন্য কোনও শক্তি রয়েছে।
সন্ধে ৬.১৯: আন্দোলনের নামে নবান্ন অভিযানে তাণ্ডবের অভিযোগ এডিজি দক্ষিণবঙ্গের। তিনি বলেন, “আন্দোলনকারীরা সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দানে পুলিশের অনুরোধ না শুনে ব্যারিকেড ভাঙা, গার্ডরেল ওলটানো, ইট-পাথরবৃষ্টি, পুলিশকে মারধর করা, গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাণ্ডব করেছে। বাংলায় শান্তি বজায় রাখতে চূড়ান্ত সংযমের পরিচয় দিয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা।”
সন্ধে ৬.১৫: এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ ও যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের কর্মসূচি ছিল। আমরা অনুমতি দিইনি। সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে কিছু দুষ্কৃতী অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবে। আজকে সেই আশঙ্কা সত্যি হয়েছে। গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। আরও অনেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। গতকাল রাতে হাওড়া স্টেশন গ্রেপ্তার ৪। তারা খুনের পরিকল্পনা করেছিল। অস্ত্র, বোমা, গুলি নিয়ে অশান্তি পাকানোর ছক ছিল। তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। কাল লাশ ফেলতে হবে। বডি ফেলতে হবে। এই ধরনের আলোচনা হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপে পেয়েছি।”
সন্ধে ৬: লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ বিনা কারণে লাঠিচার্জ করেছে। কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।”
বিকেল ৫.৫৮: অসুস্থ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। বিজেপির বিক্ষোভে অবরূদ্ধ লালবাজার।
বিকেল ৫.৪৭: পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তি। গেরুয়া শিবিরের লালবাজার অভিযানে ধুন্ধুমার। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ল পুলিশ।
বিকেল ৫.১৬: নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, “ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিল। রাজ্য প্রশাসন আরও ধৈর্যের পরিচয় দিক। যারা আন্দোলন করতে গিয়েছিলেন তাদের বলব শৃঙ্খলা মেনে অশান্তি না করে আন্দোলন করুন।”
বিকেল ৫.০৪: আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের।
বিকেল ৫.০১: সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আজকের আন্দোলনে সাধারণের যোগদান ছিল না। পুলিশ সংযত থেকে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। কেন ধর্মঘটের ডাক মানুষ বুঝেছে। ধর্মঘটের ডাকে অর্থনীতিকে আঘাত করা হচ্ছে।” রেল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর আরও অনুরোধ, “ধর্মঘটে সাহায্য করবেন না।”
বিকেল ৪.৩৬: আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “ছাত্রদের প্রতি পূর্ণ সমবেদনা আছে। যে মর্মান্তিক অপরাধ হয়েছে তার সুবিচার সকলেই আছি। এখন তদন্তভার সিবিআইয়ের কাছে। সুবিচার চাওয়ার অধিকার সকলের আছে। আজ মহানগরী তথা বাংলাকে স্তব্ধ ও অচল করার যে প্রয়াস হচ্ছে, তা অসমর্থনযোগ্য। শারদোৎসবের বেচাকেনা শুরু হয়ে গিয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য-সহ সকল জনক্ষেত্র বিপন্ন। আগামিকালের প্রস্তাবিত ধর্মঘটকে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অংশ নেবেন না। সব কিছু চালু থাকবে। অফিস-কাছারিতে আসতে হবে সরকারি কর্মীদের। দোকানপাট খুলে রাখবেন। যানবাহন স্বাভাবিক রাখতে হবে। বেসরকারি বাস, মিনিবাস মালিকদের প্রতিও একই অনুজ্ঞা। বাংলাকে সর্বতভাবে সচল রাখতে হবে।”
বিকেল ৪.৩৩: প্রিন্সেপ ঘাটে পুলিশের গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর আন্দোলনকারীদের।
বিকেল ৪.২৭: নবান্ন অভিযানে ধৃতদের ছাড়াতে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে লালবাজারের পথে বিজেপি।
বিকেল ৪: নবান্ন অভিযানে পুলিশি ধরপাকড়ের প্রতিবাদে X হ্যান্ডলে তোপ জে পি নাড্ডার।
The images of police highhandedness from Kolkata have angered every person who values democratic principles.
In Didi’s West Bengal, to help rapists and criminals is valued but it’s a crime to speak for women’s safety.
— Jagat Prakash Nadda (@JPNadda) August 27, 2024
দুপুর ৩.৫৪: পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে কুণাল ঘোষ বলেন, “নবান্ন অভিযান নয়, সমাজবিরোধীদের অভিযান। এখন জাস্টিস নয়, চেয়ার চাই। বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে। বিজেপির কিছু গুন্ডা অরাজকতা করেছে। এর মধ্যে অনেক বাংলা বিরোধী অপশক্তি আছে। একটা বড় প্লট। পুলিশ সমস্ত আক্রমণের মুখে পড়ে, রক্তাক্ত হয়েও, গোটা পুলিশবাহিনী সংযমের পরিচয় দিয়েছে। উত্তেজিত জনতাকে হঠাতে যা করার তাই করেছে।” বিজেপির ডাকা ধর্মঘটের বিরোধিতায় তিনি বলেন, “আগামিকাল কোনও বন্ধ হবে না। মানুষ বাংলা বন্ধের ডাক ব্যর্থ করুন। চক্রান্ত ভেস্তে গিয়েছে বলে ধর্মঘটের ডাক। জনজীবন স্বাভাবিক রাখুন। এটা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।”
দুপুর ৩.৪৪: বুধবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক সুকান্ত মজুমদারের।
দুপুর ৩.৪০: সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মতলায় ধরনা। নবান্ন অভিযানে আক্রান্তদের আইনি বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা করা হবে। চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন ঘেরাও। ৩০ আগস্ট রাজ্য মহিলা কমিশন ঘেরাও। ২ সেপ্টেম্বর জেলাশাসকের দপ্তরে দিনভর ধরনা। ৬ সেপ্টেম্বর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত দুঘণ্টার চাক্কা জ্যাম।”
দুপুর ৩.৩৬: নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণ মিছিলে কেন পুলিশ লাঠিচার্জ করল? কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ল? আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়। বাংলার ছাত্র সমাজকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রক্তস্নান করাতে চাইছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আর পারবেন না আটকাতে। বাংলার মানুষের জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।”
দুপুর ৩.৩০: প্রিন্সেপ ঘাটে পুলিশ কিয়স্কে হামলা আন্দোলনকারীদের।
দুপুর ৩.২৮: চ্যাটার্জিহাটে ফের নতুন করে উত্তেজনা। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি।
দুপুর ৩.১৫: নবান্নের ১০০ মিটার দূরে পৌঁছল মিছিল। হঠিয়ে দেয় পুলিশ।
দুপুর ৩.০৭: বেলা বাড়তেই বাড়ছে বিক্ষোভের ঝাঁজ। নবান্ন অভিযানে শামিল কামদুনির টুম্পা কয়ালও। এম জি রোড থেকে আটক করা হয় তাঁকে।
দুপুর ২.৩৬: সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন নয়, অশান্তি করার ছক। X হ্যান্ডলে পোস্ট করে ফের অভিযোগ তৃণমূলের।
Make no mistake, this isn’t a protest for justice, it’s chaos orchestrated by @BJP4India – hired goons running amok, smashing barricades and attacking on-duty Police officers.
This is a deliberate plot to incite unrest and destabilise Bengal! pic.twitter.com/MGkcXYJRI2
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) August 27, 2024
দুপুর ২.২৪: আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ।
বারবার ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করছে কিছু দুষ্কৃতী। ভাঙছেও।
এটাকে গ্লোরিয়াস চেহারায় দেখাচ্ছে মিডিয়া।
পুলিশ এখনও সংযতভাবে ঠেকাচ্ছে। যেটুকু না করলে নয়।
এরা কী চায়? ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নে যেতে দিতে হবে?
একতরফা বিষাক্ত কিছু উস্কানিমূলক বয়ান প্রচারিত হচ্ছে।
এর নাম বিচার চাই?— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 27, 2024
দুপুর ২.২০: নবান্ন অভিযানে শামিল হল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। পোস্টার, ব্যানার হাতে হাওড়া স্টেশন থেকে বিশাল মিছিল সদস্যদের। নেতৃত্বে আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।
দুপুর ২.১৩: এজেসি বোস রোডের কাছে বড় মিছিল, জমায়েত। তৈরি পুলিশও।
দুপুর ২.০৫: দক্ষিণ কলকাতার টার্ফ ভিউ রোডে জমায়েত। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ ছুড়ল জলকামান। চলছে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস।
দুপুর ১.৫৪: আক্রান্ত হাওড়ার চণ্ডীতলার আইসি। তাঁর মাথা ফাটল।
দুপুর ১.৩৩: সাঁতরাগাছিতে ট্রেন থেকে পাথর ছোড়ার অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পালটা পুলিশের জলকামানও অব্যাহত।
দুপুর ১.২০: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি বিক্ষোভকারীদের। সংঘর্ষে মাথা ফাটল RAF-এর জওয়ানের।
দুপুর ১.০৪: হাওড়া ব্রিজেও বিক্ষোভকারী-পুলিশের হাতাহাতি। ছোড়া হল জলকামান।
দুপুর ১২.৫৭: নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সাঁতরাগাছিতে। ব্যারিকেড ভেঙে এগোলেন বিক্ষোভকারীরা। পালটা লাঠিচার্জ পুলিশের।
দুপুর ১২.৫০: হাওড়া ব্রিজের ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ।
দুপুর ১২.৪২: কলেজ স্কোয়ারের মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্জুন সিং।
দুপুর ১২.৩৩: ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে’র ডাকে নবান্ন অভিযানে ছাত্র কই? জমায়েতের ছবি দেখে প্রশ্ন আমজনতার। এমজি রোড থেকে শ পাঁচেক লোক নিয়ে মিছিলের পুরোভাগে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরাই। একশো, দুশো, পাঁচশো লোক নিয়ে ভাগে ভাগে মিছিল। কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
দুপুর ১২.২০: ছাত্রসমাজের নবান্ন অভিযানে নয়, শুভেন্দু অধিকারী গেলেন বিধানসভায়। সেখান থেকে হুমকি, ছাত্রদের মারধর করা হলে রাস্তায় অবস্থান করবে বিজেপি।
দুপুর ১২.০২: হাওড়ায় নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে রাস্তায় ডিজি রাজীব কুমার। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দিলেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
বেলা ১১.৫২: বর্ধমান থেকে দলীয় পতাকা, লাঠি হাতে ট্রেনে কলকাতামুখী বিজেপি কর্মীরা। হাতে লাঠি দেখে আটকাল পুলিশ। ট্রেনের ভিতরেই পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি।
বেলা ১১.৪৪: কলেজ স্কোয়ার প্রায় পুলিশের দখলে। জাতীয় পতাকা হাতে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে জমায়েত বিজেপি কর্মীদের। পতাকা ছাড়া সমর্থকদের নিয়ে কলেজ স্কোয়ারে বিজেপি নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজ স্কোয়ার এ মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করুন। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।
বেলা ১১.২৫: বড়সড় অশান্তি বাঁধানোর ছক ছিল, আশঙ্কায় গ্রেপ্তার চার ছাত্র। সোশাল মিডিয়া পোস্টে জানাল রাজ্য পুলিশ।
বেলা ১১.০৫: সাঁতরাগাছি থেকেই জমায়েতে বাধা পুলিশের। সেখানে দাঁড়িয়ে স্লোগান তুললেন অংশগ্রহণকারীরা।
সকাল ১০.৫৩: ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে’র ডাকে নবান্ন অভিযানের আগেই পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যান্য দিনের চেয়ে মঙ্গলবার একটু আগেই নবান্নে গেলেন তিনি।
বেলা ১০.৫০: কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের ‘নিখোঁজ’ ছাত্রদের পরিবারের। বুধবার শুনানির সম্ভাবনা।
সকাল ১০.০৯: নবান্নে আসার পথে মেদিনীপুরের বিজেপি জেলা সভাপতিকে আটক করল পুলিশ।
সকাল ৯.৫৪: শিয়ালদহ-সিউড়ি মেমু ট্রেনে মঙ্গলবার সকালে কলকাতার উদ্দেশে সিউড়ি রেল স্টেশন থেকে রওনা ছাত্রদের।
সকাল ৯.২৬: কলকাতায় আসার পথে হাওড়া থেকে নিখোঁজ চার ছাত্র! X হ্যান্ডলে নাম-সহ পোস্ট শুভেন্দুর। অভিযোগ, ‘মমতার পুলিশ’ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।
The following Student Activists who were distributing food to the volunteers, who were arriving at Howrah Station, suddenly went missing after midnight :-
# Subhojit Ghosh
# Pulokesh Pandit
# Goutam Senapati
# Pritam SarkarNeither they can be traced nor are they answering…
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) August 27, 2024
সকাল ৯.১১: নবান্ন অভিযানে শামিল হতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর (Gangasagar) থেকে নদীপথে রওনা দিলেন কয়েকশো ছাত্র-ছাত্রী। সঙ্গে অভিভাবকরাও। ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কলকাতামুখী তাঁরা।
সকাল ৯.০৫: সকাল থেকে শহরের পথে কড়া নিরাপত্তা। ত্রিস্তরীয় বলয়ে ঘিরল রাজ্যের মূল প্রশাসনিক ভবন নবান্ন (Nabanna)। কর্মীদের প্রবেশেও চলছে খুঁটিনাটি পরীক্ষা। ১৯ টি জায়গায় বসল ব্যারিকেড।
সকাল ৮.৫২: বিভিন্ন জেলা থেকে বাসে, ট্রেনে নবান্নমুখী ছাত্রছাত্রীরা। সকাল থেকে পথেঘাটে ভিড়।
সকাল ৮.২৩: ছাত্রসমাজের নবান্ন অভিযানের আগে সোশাল মিডিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভিডিও বার্তা, ‘বিজয়ী ভব’।
সকাল ৭.২০: মাঝরাতে নবান্নের কাছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। তাঁরাও এদিন পৃথকভাবে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। তবে নবান্নের সামনে জড়ো হতেই নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.