সুব্রত বিশ্বাস: শৌচালয়ের সামনেই পড়েছিল কৌটোটা। ভিতরে টাটকা একটা মাংসপিণ্ড। রক্তমাখা। মানুষের কাটা মাথা নয়তো? সন্দেহ ছড়াতেই তুমুল চাঞ্চল্য দুন এক্সপ্রেসের যাত্রীদের মধ্যে। রেলকে ব্যবহার করে অপরাধের সংখ্যা নেহাত কম নয়। নিষিদ্ধ মাদক থেকে মদ বহুকিছুই পাচার হয় রেলের কামরায়। প্রায়শই তা উঠে আসে সংবাদের শিরোনামে। তাই কেউ খুন করে যে তা ফেলে রাখতে পারে, সে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তা অনুমান করেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।
[ দেশের কাজে জীবন বিলিয়েও ‘ব্রাত্য’ বাংলার দেশপ্রেমিক ]
দুন এক্সপ্রেসের এস-১২ কামরার সামনে কৌটোটি পড়ে থাকতে দেখেন অনেকে। স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহল বাড়ছিল। কিন্তু ভিতরে রক্তমাখা মাংসপিণ্ড দেখেই আঁতকে ওঠেন যাত্রীরা। মানুষের কাথা মাথা নয়তো? মুখে মুখে এ সন্দেহ ছড়াতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। আতঙ্ক ও অস্বস্তি সঙ্গে নিয়েই চলে সফর। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা নাগাদ ট্রেনটি হাওড়া স্টেশনে পৌঁছায়। যাত্রীদের হইচইতে আরপিএফ পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখে। তাঁরাও প্রথমে অনুমান করেন, সম্ভবত মানুষের কাটা মাথাই পড়ে আছে শৌচালয়ের সামনে। কৌটোয় বন্দি করে কোনও দুষ্কৃতী তা ফেলে গিয়েছে। মাংসপিণ্ডটি গোলাকার হওয়ায় সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। খবর দেওয়া হয় রেল পুলিশকে। তারা এসে কৌটোটি নিয়ে যায়। তারপরেই অবশ্য ভুল ভাঙে। আর একটু তলিয়ে দেখলে বোঝা যায়, মাংসপিণ্ডটি টিউমার জাতীয় কিছু। কৌটোর উপর লেখা আছে, রোগী-ওয়াকিয়া বানু, মহিলা, বয়স-৫৫। এরপরেই ধন্দের নিরসন হয়। বোঝা যায়, কোনও রোগীই এটা ভুলবশত ফেলে গিয়েছেন।
[ গাড়ির ভিতর বিধায়কের চাবি, তালা খুলতে হুলস্থূল বিধানসভা ]
হাওড়া রেল পুলিশের আইসি নরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, “গোলাকার মাংসপিণ্ডটি টিউমার বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। কৌটোয় রোগীর নাম লেখা থাকায় অনুমান আরও স্পষ্ট হচ্ছে। কেউ অপারেশনের পর টিউমারটি সংগ্রহ করে আনছিলেন। পরে তা ফেলে যান বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।” আপাতত যাত্রী তালিকা দেখে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছে রেল পুলিশ।
[ বইমেলায় শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, ছোটদের জন্য পরিচয়পত্র ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.