স্টাফ রিপোর্টার: হস্টেলে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য ছড়ালো। হরিদেবপুরের একটি মিশনারি স্কুলের হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ছাত্রীর দেহ। পরিবারের দাবি, প্ররোচনা দেওয়ার ফলে আত্মহত্যা করেছে ছাত্রী। মৃত ছাত্রীর নাম অর্চনা হালদার (১৫)। হরিদেবপুরের একটি মিশনারি স্কুলের নবম শ্রেণিতে যথেষ্ট মেধার পরিচয় দিয়েছিল মৃতা ছাত্রী। বাড়ি ডায়মন্ড হারবারের মন্দিরবাজার থানা এলাকায়।
সোমবার সকালে হস্টেল থেকে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় অর্চনার মৃতদেহ উদ্ধার করে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। মৃত ছাত্রীর পরিবারের দাবি, অর্চনাকে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। তার পরই সে আত্মহত্যা করে। ঘটনায় বুধবার সকালে মন্দিরবাজার থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে অর্চনার পরিবার। কী কারণে মৃত্যু, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। একজন ছাত্রীর হস্টেলে মৃত্যুর ঘটনায় অন্যান্য আবাসিকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। হস্টেলে ছাত্রীর সঙ্গে কোনও র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্তে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও হস্টেলে থাকা অন্যান্য ছাত্রীর সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
কোনও ব্যক্তিগত কারণে ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে কি না, তারও তদন্ত করছে পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখে মৃত্যুর কারণ অনেকটাই স্পষ্ট হবে বলে মত পুলিশের। মন্দিরবাজার থানায় অভিযোগ জানালেও তদন্তটি কলকাতা পুলিশের হরিদেবপুর থানার আধিকারিকরা করছেন। কারণ, ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা হরিদেবপুরের স্কুলের হস্টেলে ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরও খোঁজখবর নিচ্ছে। দেখা হচ্ছে স্কুল কতৃর্পক্ষ ও হস্টেল আধিকারিকদের গাফিলতি রয়েছে কি না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.