ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার: যাদবপুরের নেতাজিনগরে ছাব্বিশ বছরের এক গৃহবধুর মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। আত্মহত্যা না খুন? আপাতত এই জট ছাড়াতেই তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। কয়েক বছর আগে যাদবপুর নেতাজিনগরের আশিস ভাস্কর মিশ্রর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বেহালার অদিতি মিশ্রর। নেতাজিনগরের মালঞ্চ অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন স্বামী—স্ত্রী। স্বামী বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। বাড়িতে একাই থাকতেন অদিতি। সোমবার রাতে অদিতির নিথর দেহ নিয়ে আচমকাই হাসপাতালে আসেন তাঁর স্বামী। চিকিৎসকদের বলেন, “আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। ওঁকে বাচান।”
আশিসের এমন কথায় হতচকিত হয়ে পড়েন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা নেতাজিনগর থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। রাতেই এক প্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মৃতার স্বামীকে। খবর পাঠানো হয় মৃতার বাপের বাড়িতে। মৃতার বাপের বাড়ি বেহালার সরশুনায়। বাপের বাড়ির প্রাথমিক অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই দুজনের মধ্যে অশান্তি হত। তবে এমন পরিণতি তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না। নেতাজি নগর থানার পুলিশ ওই ফ্ল্যাটের আবাসিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। যে ঘরে অদিতি গলায় দড়ি দিয়েছেন বলে তাঁর স্বামী দাবি করেছেন, সেই ঘরটিও খুঁটিয়ে দেখেন তদন্তকারী অফিসাররা। মাঝেমধ্যেই স্বামী—স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত। মঙ্গলবার সকালেই হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা ওই ফ্ল্যাটে যান। ফ্ল্যাট থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জোগাড় করেছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.