সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি ডি বিড়লার কৃতী ছাত্রী কৃত্তিকার স্মৃতিতে রবিবার সকাল থেকে মৌন মিছিলে পা মেলালেন জিডি বিড়লার অভিভাবকরা। স্কুল থেকে শুরু হয়ে রানিকুঠি মোড়ে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি। তবে সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, ঠিক কী কারণে এমন ভয়ংকর পথ বেছে নিল কৃত্তিকা?
শুক্রবার রানিকুঠির জি ডি বিড়লা স্কুলের শৌচালয় থেকে হাতের শিরা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় কৃত্তিকা। সেই সময় তার মুখে বাঁধা ছিল প্লাস্টিক৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই চিকিৎসকরা জানান মৃত ওই ছাত্রী৷ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ উদ্ধার করে তিন পাতার সুইসাইড নোট৷ পুলিশসূত্রে খবর, দীর্ঘ ওই সুইসাইড নোট লেখা ছিল চোস্ত ইংরাজি ভাষায়৷ প্রতিটি ছত্রে হতাশা, মানসিক অবসাদের কথা তুলে ধরেছিল কৃত্তিকা৷ বাবা-মার সঙ্গে কৃত্তিকার সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল বলেও সুইসাইড নোটে লিখেছে ছাত্রী৷ সুইসাইড নোটে কৃত্তিকা উল্লেখ করেছে, ‘এটাকে যদি তোমাদের আত্মহত্যা বলে ভাবতে কষ্ট হয়, তবে খুন বলে ভেবে নাও৷’
প্রাথমিক তদন্তে সুইসাইড নোট পড়ে পুলিশের ধারণা, মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শহরের নামজাদা স্কুলের কৃতী ছাত্রী৷ কিন্তু মাত্র ষোলো বছরের কৃত্তিকা কীভাবে এমন ফন্দি আঁটল, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের৷ হাতের শিরা কাটা এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে প্লাস্টিকের সাহায্যে শ্বাসরোধকে বেছে নিয়েছিল কৃত্তিকা৷ অনেকেই বলছেন, কৃতী ছাত্রীর আত্মহত্যার পদ্ধতির সঙ্গে একটি ওয়েব সিরিজের মিল রয়েছে৷ অবসরযাপনের সময় কৃত্তিকা ওয়েব সিরিজ দেখত৷ ওই ওয়েব সিরিজ দেখেই হয়তো এভাবে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলেই ধারণা পুলিশের৷ তবে কারণ যাই হোক, সকলের প্রিয়, সকলের আদরের এই ছাত্রীর মৃত্যু যেন মেনে নিতে পারছেন না কেউই। সেই কারণেই কৃত্তিকার স্মৃতিতে পথে নেমেছিলেন সহপাঠীদের অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যার সঙ্গে ওয়েব সিরিজের মিল! জি ডি বিড়লার ছাত্রীমৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.