সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ২৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। ওষুধেও জ্বর কমছে না। শেষপর্যন্ত, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি হলেন মুর্শিদাবাদের আশিক মণ্ডল। পরিবারের লোকেদের দাবি, তিনি নিপা আক্রান্ত বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। কলকাতার আসার আগে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদে জেলা হাসপাতালে ভরতি ছিলেন আশিক। নিপা সংক্রমণ সন্দেহ করেই তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই রোগীর পরিবারের লোকেরা। সোমবার রাতে আশিকের রক্ত পরীক্ষার জন্য পুণেতে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, নিপা আতঙ্কে আলিপুর চিড়িয়াখানায় বিশেষ সতর্কতা জারি করল কর্তৃপক্ষ। বাগানে বা মাটিতে পড়ে থাকা ফল পশুপাখিদের না খাওয়ানোর অনুরোধ জানিয়ে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি।
[চিকেন প্যাটিসে ছত্রাক, প্রতিবাদ করায় কলেজ পড়ুয়াকে মারধর]
নিপা আতঙ্ক বাড়িয়ে জ্বর নিয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি আরও একজন। নাম আশিক মণ্ডল। বাড়ি মুর্শিদাবাদে। পরিবারে লোকেরা জানিয়েছেন, কেরলের এরনাকুলামে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন আশিক। ২৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন তিনি। তাঁকে প্রথমে ভরতি করা হয়েছিল বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মে়ডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পরিবারের লোকের দাবি, নিপা সন্দেহে আশিককে কলকাতায় রেফার করেছেন চিকিৎসকরা। এখন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি তিনি। আইডি হাসপাতালে চিকিৎসকদেরও আশঙ্কা, নিপায় আক্রান্ত হয়েছেন ভিনরাজ্যে কর্মরত এই রাজমিস্ত্রি। হাসপাতালে বেডে বিশেষ ধরনের মাস্ক পরিয়ে রাখা হয়েছে আশিককে। পরিবারের লোকেদেরও মাস্ক পরেই তাঁর সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
[শহরের পার্লার ও স্পা-এ ছদ্মবেশে হানা দিয়ে মধুচক্রের পর্দাফাঁস গোয়েন্দাদের, গ্রেপ্তার ৫৪]
দিনকয়েক আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি হন এক যুবক। তিনিও মুর্শিদাবাদেরই রেজিনগরের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরেন দারুণ জ্বর নিয়ে। সেইসঙ্গে মাথা ব্যাথা-সহ নানা উপসর্গ। এখনও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, মুর্শিদাবাদের ওই যুবক নিপায় আক্রান্ত নন। এদিকে নিপা আতঙ্কে চিড়িয়াখানায় জারি বিশেষ সতকর্তা। বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্যটকদের বাগানে বা মাটিতে পড়ে থাকা ফল পশুপাখিদের না খাওয়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
[একই অঙ্গে যোনি ও পুরুষাঙ্গ, শহরে জন্ম বিরল শিশুর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.