Advertisement
Advertisement
করোনা

কোভিড-সেনার দলে মুর্শিদাবাদের আরও ১৫, রোগীদের করোনাতঙ্ক কাটাতে আইডিতে শুরু ট্রেনিং

এবার দলে তিনজন মহিলা করোনাজয়ীও রয়েছেন।

Murshidabad Covid Army gets 15 new recruit

ছবি প্রতীকী

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:July 13, 2020 9:32 pm
  • Updated:July 13, 2020 10:00 pm  

গৌতম ব্রহ্ম: স্রোত বাড়ছে। ৩০ জন করোনাজয়ী ইতিমধ্যেই করোনারোগীর সেবায় নিযুক্ত। এবার আরও ১৫ জন স্বেচ্ছায় সেই দলে নাম লেখালেন। এবারও দৃষ্টান্ত স্থাপন করল মুর্শিদাবাদ। বেলেঘাটা আইডি, টালিগঞ্জের এম আর বাঙ্গুর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ-সহ পাঁচটি হাসপাতালে এঁরা কোভিড ওয়ার্ডে ঢুকে কাজ করবেন। রোগীদের মনের জোর বাড়াবেন।

সপ্তাহখানেক আগে মুর্শিদাবাদ থেকে ৩০ জন কলকাতায় এসেছিলেন। সোমবার সেই পথ ধরেই আরও ১৫ জন এলেন। এবার এঁদের মধ্যে তিনজন মহিলা করোনাজয়ীও রয়েছেন। বেলেঘাটা আইডিতে সবাইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ছ’দিনের ‘ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম’। কীভাবে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রোগীর সেবা করতে হবে তা হাতে-কলমে দেখাবেন আইডির ডাক্তারবাবুরা। মেন্টর হিসাবে থাকছেন ডা. রাজশেখর মাইতি ও ডা. যোগীরাজ রায়। যোগীরাজ জানালেন, “ওরা আমার জেলার। আমার সঙ্গে থেকে ওরা প্রাথমিক বিষয়টুকু রপ্ত করতে চাইছে। তাই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুখবর, করোনা আবহে বন্ধ থাকার পর খুলছে BR সিং হাসপাতালের স্পেশ্যাল ক্লিনিক]

সম্প্রতি কোভিডজয়ীদের নিয়ে বহরমপুরে কোভিড ওয়ারিয়র্স (Covid Warriors) ক্লাব তৈরি করেছেন বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডা. অমরেন্দ্রনাথ রায়। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি-সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ আমলা রয়েছেন ক্লাবের সঙ্গে। মানুষের মন থেকে করোনাতঙ্ক দূর করতে, আক্রান্তদের মনের জোর বাড়াতে, স্থানীয়ভাবে কোভিডজয়ীদের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি জানার পর সব জেলাতেই এই উদ্যোগকে ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য মাসিক ১৫ হাজার টাকা সাম্মানিকেরও ব্যবস্থা করেন। থাকা-খাওয়া তো আছেই। ফলে জেলায় জেলায় এই কোভিড ওয়ারিয়র্স ক্লাব তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

অমরেন্দ্রনাথবাবু জানিয়েছেন, কোভিডজয়ীদের মধ্যে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী যাঁরা, তাঁদেরই এই উদ্যোগে শামিল করা হচ্ছে। দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে এঁরা সহজেই কোভিডরোগীদের সেবা করতে পারবেন। ভাঙাতে পারবেন কোভিড নিয়ে তৈরি হওয়া অযথা আতঙ্ক। আসলে কোভিড (COVID-19) নিয়ে অকারণ ভয় ডাক্তারবাবুদের কাজকে কঠিন করে তুলেছে। পাশে কোভিডজয়ীদের পেলে অনেক সুবিধা হবে। এমনটাই জানালেন যোগীরাজ। রোজ সকালে এঁদের যুবভারতী থেকে পাঁচ কোভিড হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কাজ সেরে সন্ধ্যায় স্টেডিয়ামে ফিরছেন সকলে। আপাতত দু’মাসের জন্য এঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে কাজের মেয়াদ বাড়ানো হবে।

[আরও পড়ুন: বাগে আসছে না সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় শুধু কলকাতাতেই করোনা আক্রান্ত ৪১৮ জন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement