সন্দীপ চক্রবর্তী: পুরভোটের আগেই সমস্ত কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। ডেডলাইন বেঁধে দিল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। এপ্রিলের শুরুতেই হয়ত কলকাতা পুরসভায় ভোট। তারপরে রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে নির্বাচন হবে। তার আগে অর্থাৎ মার্চের মধ্যে যাবতীয় কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে সমস্ত পুরসভাগুলিকে। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, শুধুমাত্র রাজনীতি বা সমালোচনার মাধ্যমে নয়, উন্নয়নের পরিসংখ্যানকে সামনে রেখেই মানুষের কাছে সমর্থন চাইতে হবে কাউন্সিলরদের।
শুক্রবারই কলকাতা পুরসভা-সহ রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলির আসন বিন্যাস হয়েছে, সংরক্ষণের তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। যাতে নিজেদের ওয়ার্ড থেকে ফের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে অনেক কাউন্সিলরের। কলকাতা পুরসভার চার মেয়র পারিষদ – স্বপন সমাদ্দার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, দেবব্রত মণ্ডল, রতন দে। এছাড়া দুই বরো চেয়ারম্যানও বাদ পড়ছেন নিজেদের ওয়ার্ডে লড়াই থেকে।
এই পরিস্থিতিতে তাঁদের কী ভূমিকা থাকবে পুরভোটে? এ নিয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ”দলের নেত্রীর নির্দেশমতো দলের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাংসদ ও বিধায়করা কাজ করে থাকেন। তৃণমূল যাঁরা করেন, তাঁরা কখনও ভাবেন না, কে মন্ত্রী কে বিধায়ক বা কে সাংসদ হবেন। তাঁরা শুধুমাত্র নেত্রীর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে মানুষের জন্য কাজ করে চলে। আজকের এই প্রাথমিক তালিকায় যাঁদের নাম বাদ গেল বা যাঁদের ওয়ার্ড বা এলাকার সংরক্ষিত হয়ে গেল তাঁদের বিষয়টি দলে আলোচনা করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের কীভাবে কাজে লাগানো হবে, সে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।”
বিগত দিনগুলিতে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাগুলি কী কী ধরনের জনকল্যাণমুখী কাজ বাস্তবায়িত করেছে, তা তুলে ধরেই আগামী দিনে কলকাতা থেকে শুরু করে সমস্ত পুর এলাকায় প্রচার করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরমন্ত্রীর দাবি, সেসব কাজ বিবেচনা করেই পরবর্তী সময়ে জনসমর্থনের ভিত্তিতে তৃণমূলই পুরবোর্ড গঠন করবে। আজ আসন পুনর্বিন্যাস এবং সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরই কোমর বেঁধে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.