স্টাফ রিপোর্টার: আচমকাই হেলে পড়ল মধ্য কলকাতার তিলজলার একটি বহুতল। বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল বহুতলের বাসিন্দাদের মধ্যে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। জানা গিয়েছে, পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা বাড়িটি পরীক্ষা করে দেখবেন তাতে আদৌ বাস করা যাবে কিনা।
ছ’মাস আগে দু’টি বহুতলের চারতলার জানালার কার্নিশের মধ্যে দূরত্ব ছিল তিন ফুট। এদিন আচমকাই হেলে পরে বহুতলটি। প্রথম অবস্থায় হেলে পড়া বাড়িটির বাসিন্দারা ভাবেন, বোধহয় ভূমিকম্প হচ্ছে। কিন্তু বাইরে এসে টের পাওয়া যায় ক্রমশ হেলে পড়েছে বহুতলটি। ওই বাড়ির এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “হঠাৎই মাটি নড়ে ওঠে। প্রথমটায় ভেবেছিলাম হয়তো ভূমিকম্প হচ্ছে। কিন্তু বাইরে এসে দেখি বাড়িটা হেলানো টাওয়ারের মতো ঝুঁকে পড়েছে।”
১২ নম্বর শিবতলা লেনের এই বাড়িটির বয়স বেশি নয়। মাত্র বছর পনেরো আগে সেটি তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি বাড়িটি রংও করা হয়। বুধবার রাতে বাড়িটি এতটাই হেলে পড়ে যে পাশের বহুতলের কার্নিশের সঙ্গে আড়াআড়ি ভাবে লেগে যায় বাড়িটির দেওয়াল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়ির নির্মাতা নিয়মকানুন মানেননি। ভিতের সমস্যার জন্যেই বাড়িটি হেলে পড়েছে। এদিকে গোটা ঘটনা ঘিরে আতঙ্কিত তিলজলা শিবতলা লেনের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই হেলে পড়া বহুতল থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে বাসিন্দাদের। পাশের বহুতলটিকেও খালি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এমন ঘটনা একদিনে হয়নি। কয়েক বছর ধরেই চারতলা বহুতলটি পাশের বহুতলের উপরে হেলে পড়ছিল। পাশের বহুতলটিও খালি করা হচ্ছে। শহরের বহুতলগুলির অবস্থা যে মোটেই নিরাপদ নয় তা অবশ্য আগেই টের পেয়েছিল পুরসভা। সম্প্রতি একের পর এক বহুল গুড়িয়ে পড়ার ঘটনার পর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ। কিন্তু তাতেও আদপে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। আতঙ্ক কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.