সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি নন, চুরির দায়ে গ্রেপ্তার হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বেহালায় দাঁড়িয়ে এই দাবিই করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। একটি মামলার কারণে বেহালায় থাকা কলকাতা পুলিশের সহকারী কমিশনারের অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আট কোটি টাকা চুরির দায়ে গ্রেপ্তার করা হবে বলে মন্তব্য করেন।
রেলবোর্ডের সদস্য করে দেওয়ার নামে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের নেতা বাবান ঘোষের নামে। সরশুনা থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। ওই মামলার এফআইআরে মুকুল রায়ের নামও আছে। সেই প্রেক্ষিতে সোমবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে কলকাতা পুলিশ। বিকেলবেলায় বেহালায় অবস্থিত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের অফিসে ডেকে পাঠানো হয়।
পুলিশের তলব পেয়ে আজ সরশুনা থানায় যান মুকুল। আর সেখানে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘তদন্তে ভয় পাই না। তাই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে এসেছি। তাছাড়া আমি নয়, আট কোটি টাকা চুরির দায়ে গ্রেপ্তার হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় কী অভিযোগ আর কোন মামলায় গ্রেপ্তার হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই বিষয়টি স্পষ্ট করেননি মুকুল। শুধু বলেন, ‘অপেক্ষা করুন। তাহলে দেখতে পাবেন কী হয়।’
২০১৫ সালে মুকুল রায় যখন তৃণমূল নেতা হিসেবে রাজ্যসভার সদস্য হন, সেসময় নিজাম প্যালেসে বেহালার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেখানেই আরও তিনজনের সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর পরিচয় করিয়ে দেন মুকুল রায়। এরপর রেলে চাকরি ও কমিটিতে জায়গা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওই ব্যবসায়ীর থেকে দফায় দফায় প্রচুর টাকা নেন বিজেপি নেতা। প্রমাণস্বরূপ মন্ত্রী ও সাংসদের লেটার হেডে কিছু কাগজপত্রও দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু, কোনও প্রতিশ্রুতিই মুকুল রাখেননি বলে অভিযোগ। এদিকে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও চাকরি হয়নি ব্যবসায়ীর। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় রেল মন্ত্রকে সবকিছু জানান ওই ব্যবসায়ী। আর তারপরই জানতে পারেন, লেটারহেডে তাঁকে দেওয়া সমস্ত নথি ভুয়ো। এরপরই থানার দ্বারস্থ হন। আর তারপরই গ্রেপ্তার হন বাবান ঘোষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.