Advertisement
Advertisement

বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে মুকুল রায়, তুঙ্গে রাজনৈতিক জল্পনা

সব্যসাচী কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? উঠছে প্রশ্ন।

Mukul Roy at Sabysachi Dutta's house
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:March 8, 2019 10:49 pm
  • Updated:March 8, 2019 10:51 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তুঙ্গে রাজনৈতিক জল্পনা। শুক্রবার রাতে বিধাননগরের মেয়র তথা বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের সল্টলেকের বাড়িতে যান মুকুল। বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, লুচি আলুর দম খেতে এসেছিলেন। তবে তা নেহাত কথা ঘোরানোর প্রসঙ্গে বলা তা কারও বুঝতে অসুবিধা নেই। মুকুল রায়ের সঙ্গে সব্যসাচী দত্তের ঘনিষ্ঠতা সুবিদিত। একদা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে সব্যসাচী দত্তের ওঠাবসা বেশ ছিল। দলবদলের পরও মুকুল রায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালই সব্যসাচীর। তবে এখানেই আসল জল্পনা। তবে কি সব্যসাচী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? এদিন মুকুল রায়ের তাঁর বাড়িতে আগমন এবং দুঘণ্টা সময় কাটানো এমনই প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তাহলে কি বিজেপির টিকিটে লোকসভা ভোটে লড়তে চলেছেন সব্যসাচী? প্রসঙ্গত, বিধাননগর কেন্দ্রের বিধায়ক সুজিত বসুর সঙ্গে তাঁর কোন্দল দীর্ঘদিনের। সদ্য মন্ত্রী হয়েছেন সুজিত। তাতেই কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে সব্যসাচীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের ঘর ভাঙতে চাইছেন কি মুকুল? জল্পনা তুঙ্গে।

Advertisement

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পদত্যাগী মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেয় বঙ্গ বিজেপি। সূত্রের খবর, বৈশাখিকে রাজ্যের কোনও একটি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করতে চাইছে বিজেপি। সূত্রের খবর, দলের হয়ে বৈশাখির নাম প্রস্তাব করেছেন মুকুল রায়ই। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এবিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়ার পরই অধ্যাপিকাকে ফোনে এই প্রস্তাব দিয়েছেন মুকুল। ঘনিষ্ঠ মহলে এই খবর চাউড় হতেই শোনা যাচ্ছে, ঘর আগলাতে কয়েকদিন আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন চার তৃণমূল কাউন্সিলর। শোভন এবং বৈশাখি– কেউই যাতে এনিয়ে তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত না নেন এবং যথেষ্ট বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন, সে বিষয়ে বোঝানো হয় বলে সূত্রের খবর।এছাড়া ওই চার কাউন্সিলর প্রাক্তন মন্ত্রীকে বারবার অনুরোধ করেন, লোকসভার আগে ফের সক্রিয় হয়ে স্থানীয় সংগঠনের হাল ধরতে। মাস পাঁচ আগে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর তাঁকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সংগঠনের দায়িত্ব থেকেও সরানো হয়েছিল। এবার ফের সেই কাজেই দলের তাঁকে প্রয়োজন বলে বার্তা দিয়ে আসেন কাউন্সিলররা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement