রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) ডামাডোল। দলের বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল, বৈঠকের পরই জোর গুঞ্জন। লকেটের বৈঠক নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এই বৈঠক নিয়ে প্রকাশ্যে একটি কথাও বলতে নারাজ রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
কলকাতা পুরনিগমের ভোটে ভরাডুবি হয়েছিল বিজেপির। রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোটেও হতাশই হতে হয়েছে পদ্মশিবিরকে। তারপরই ফলাফল বিশ্লেষণে শনিবার চিন্তন বৈঠকে বসেছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। ছিলেন সর্বভারতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্য, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষও। সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে গরহাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
বৈঠকের শুরুতে লকেট (Locket Chatterjee) দর্শকাসনে বসেছিলেন। পরে যদিও তিনি মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখেন। আর সেখানেই বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি বার্তা দেন বিজেপি সাংসদ। বলেন, “যেভাবে কমিটি তৈরি হয়েছে, তাতে যোগ্যতা নয় গুরুত্ব পেয়েছে কোটা। পুরনোদের একেবারে সরিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। সাংসদ, বিধায়কদের সংগঠন থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।” শাসক দলের বিরুদ্ধে ওঠা ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগকে কিছুটা উড়িয়ে দিয়ে লকেট দাবি করেন, “শুধু সন্ত্রাস-সন্ত্রাস বললেই হবে না। নিজেদের দুর্বলতাটাও স্বীকার করতে হবে।” এই মন্তব্যের পর লকেটকে খোঁচাও দিতে ছাড়েননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এই প্রেক্ষাপটে গোপন বৈঠক সারেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন দল থেকে সাসপেন্ডেড জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি। এছাড়াও ছিলেন সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সমীরণ পাল। বৈঠকে কী কথা হল, সে বিষয়ে এখনও কিছুই জানা যায়নি। এই বৈঠক নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পদ্ম শিবির। এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.