সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও জোরাল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগে সরব সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ ও ১৮৯ ধারায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানালেন তিনি। যদিও রাজ্যপালের তরফে এখনও পালটা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দিনকয়েক ধরে গরুপাচার ও কয়লা কাণ্ডে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সুদীপ্ত রায়চৌধুরী এবং গোবিন্দ আগরওয়ালকে গ্রেপ্তারির বিরোধিতায় একের পর এক টুইট করেছেন তিনি। সেই ইস্যুতে আরও একবার প্রকাশ্যে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপালের টুইটে পালটা জবাব দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তিনি বলেন, “সুদীপ্ত রায়চৌধুরী গরুপাচারে যুক্ত। মানুষ পাচারের সঙ্গেও যোগ রয়েছে তার। ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। ধৃত গোবিন্দ আগরওয়াল এবং সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর হয়ে কেন টুইট করছেন রাজ্যপাল? কেন বাংলার রাজ্যপাল অভিযুক্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসছেন? পশ্চিমবঙ্গের অনেক অপরাধীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে রাজ্যপালের।”
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও দাবি, “তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। পুলিশ-সহ সরকারি আধিকারিকদের তদন্তে বাধা দিচ্ছেন। হুমকি দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অসাংবিধানিক কাজ করছেন। যারা তদন্তে বাধা দেন কিংবা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ ও ১৮৯ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police) অনুরোধ করব রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন।”
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত লেগেই রয়েছে রাজ্যপালের। কখনও প্রশাসনিক আবার কখনও সাংবিধানিক ক্ষেত্রে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব জগদীপ ধনকড়। রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বলে উঠেছে অভিযোগ। তেমনই আবার পুলিশ-প্রশাসন দলদাসে পরিণত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। নবান্ন-রাজভবনের মধ্যে তাই টুইটে অভিযোগ-পালটা অভিযোগের পালা কিংবা পত্রবোমা আদানপ্রদান লেগেই থাকে। তবে বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই দু’পক্ষের সংঘাত যে জোরাল হচ্ছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.