স্টাফ রিপোর্টার: এবার লকডাউনের মাঝেই মদের দোকান খোলা প্রসঙ্গে রাজ্যকে বিঁধলেন রাজ্য বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip ghosh)। বললেন, আবগারি দপ্তরের আয় সর্বাধিক, সেই কারণেই সংক্রমণের ভয় থাকা সত্ত্বেও নিজের তাগিদেই মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য! পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) খোলা চিঠি পাঠিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে দুস্থ পরিবারগুলোকে আগামী তিনমাস রেশনের সঙ্গে মাথা পিছু ১০০০ টাকা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
করোনা আবহে বারবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। কখনও তথ্য গোপন, কখনও আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা নিয়েও রাজনীতি করছেন এই অভিযোগে সুর চড়িয়েছেন দিলীপ-মুকুলরা । এই পরিস্থিতিতে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে চারপাতার খোলা চিঠিতে একাধিক পরামর্শ দিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বললেন, গরিব পরিবারগুলিকে আগামী তিন মাসের জন্য রেশনের সঙ্গে মাথা পিছু এক হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হোক। আগামী ছ’মাস রেশন সামগ্রী বিনামূল্যে বাড়িতে পৌঁছের দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথাও বলেন তিনি। এছাড়াও ডাক্তার-সহ সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীর বেতন দ্বিগুণ করার দাবিও জানান। তাঁর কথায়, “চিকিৎসক-নার্স থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তাই অনেকে চিকিৎসা করতে আসতে ভয় পাচ্ছেন। উৎসাহ দিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন দ্বিগুণ করা হোক।” সেই সঙ্গে রাজ্যে আরও বেশি করে টেস্ট করানোর কথাও বলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ অভিযোগের সুরে বলেন, সারা দেশের মধ্যে কোভিড টেস্ট-এ পশ্চিমবঙ্গ সব চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। যথেষ্ট কিট মজুত থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা করা হচ্ছে না। মৃত্যুর হারও দেশের তুলনায় এরাজ্যে অনেক বেশি। তাঁর কথায়, এখানে তথ্য গোপন করা হচ্ছে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়ংকর। এদিন রেশন দুর্নীতি প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রীর ‘চাল খারাপ’ মন্তব্যকে নস্যাৎ করে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূলের লোকজন কেন্দ্রের চাল পালটে রাজ্যের খারাপ চাল বস্তাবন্দি করে ডিলারদের কাছে পাঠাচ্ছে। রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। করোনা চিকিৎসায় আয়ুশ পদ্ধতি প্রয়োগ প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, আয়ুশ পদ্ধতিতে বহু মানুষ সুস্থ হচ্ছেন। অথচ পশ্চিমবঙ্গে এটা হচ্ছে না। এখানেও আয়ুশ বিভাগকে কাজে লাগানোর দাবিও জানান তিনি। পাশাপাশি, অর্থনীতিকে চাঙা করতেই রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে মদের দোকান খোলা হয়েছে বলে জানান দিলীপ। প্রসঙ্গত, এই পরিস্থিতিতে মদের দোকান খোলায় সংক্রমণ এক ধাক্কায় কয়েকগুণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.