সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল চাপের মুখে এবার নতিস্বীকার করল এম পি বিড়লা স্কুল কর্তৃপক্ষ। বরখাস্ত করা হল অভিযুক্ত স্কুলকর্মীকে। স্কুলের পদক্ষেপে বিচারের রাস্তা খুলছে বলেই মনে করছেন নির্যাতিতা শিশুর বাবা।
[ জি ডি বিড়লার প্রিন্সিপালকে গ্রেপ্তারির দাবিতে স্কুলে অবস্থান বিক্ষোভ রূপার ]
জি ডি বিড়লা স্কুলে চার বছরের শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছে গোটা শহরকে। ঠিক তারপরই প্রকাশ্যে আসে এমপি বিড়লার ঘটনা। যদিও সে ঘটনা বেশ কিছুদিন আগে ঘটেছিল। সেখানে নির্যাতনের শিকার শিশু। কিন্তু অভিযোগ জানাতে গিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে কোনওরকম সহায়তা পায়নি নির্যাতিতার মা-বাবা। সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। অভিযোগ নেওয়া হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ আদালতে যাওয়ার কথাই ভেবেছিল নির্যাতিতার পরিবার। জি ডি বিড়লার ঘটনায় অভিভাবকরা যেভাবে প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন, তা রাস্তা দেখায় এম পি বিড়লার অভিভাবকদেরও। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। সুবিচারের দাবি জানাতে থাকেন অভিভাবকরা।
[ চতুর্থ দিনেও জি ডি বিড়লায় জারি প্রতিবাদ, প্রিন্সিপালের গ্রেপ্তারের দাবি ]
শেষমেশ চাপের মুখে নতিস্বীকারই করল কর্তৃপক্ষ। সোমবার অভিযুক্ত স্কুলকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্কুলের তরফে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। যদিও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে উত্তাল অভিভাবকরা। তবে স্কুলের সিদ্ধান্তে খানিকটা হলেও আশার আলো দেখছে নির্যাতিতার বাবা। তিনি জানাচ্ছেন, “এতদিন ভেবেছিলাম আদালতে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। কিন্তু এখন খানিকটা হলেও সুবিচারের রাস্তা খুলছে।” তবে স্কুলের গেটে নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার কোনও প্রমাণ মেলেনি।
West Bengal: Management of MP Birla Foundation Higher Secondary School in Kolkata suspended one of the accused from school in connection with the molestation of a girl student.
— ANI (@ANI) December 4, 2017
[ জিডি বিড়লা স্কুলের বিরুদ্ধে এবার রাস্তায় অভিভাবকরা ]
এদিকে জি ডি বিড়লার ঘটনার প্রতিবাদে আজ পথে নেমেছেন স্কুলের প্রাক্তনীরাও। মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের বৈঠকের দিন ধার্য হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধিরাও। তবে আজও জারি আছে বিক্ষোভ। এদিন বিক্ষোভ চলাকালীন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতা শিশুর বাবা। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতেই অবস্থানে অনড় অভিভাবকরা।
ছবি: অরিজিৎ সাহা
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.