সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্পিতা, সোমা, হৈমন্তী, শ্বেতার পর এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া সংযোজন। কামদুনি ধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালের নাম জড়াল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। ধৃত কুন্তল ঘোষের দাবি, তাপস মণ্ডলের এজেন্ট ছিলেন মৌসুমী। যদিও সেই দাবি খারিজ করেছেন তিনি।
জেল হেফাজত শেষে কুন্তল ঘোষকে বৃহস্পতিবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। আদালত থেকে বেরনোর সময় কার্যত বিস্ফোরক দাবি করেন কুন্তল। তিনি দাবি করেন, “মৌসুমী কয়াল জানতাম তাপস মণ্ডলের এজেন্ট। কত টাকা তুলেছে জানি না।” যদিও কুন্তলের দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন মৌসুমী। তিনি জানান, তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের ট্রেনিং সেন্টারে কাজ করতেন। মূলত রিসেপশনেই কাজ করতেন। পাঁচ-ছ’মাস বেতন পাননি। সে কারণেই চাকরিও ছেড়ে দেন। কামদুনি ধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদের সময় চাকরি, টাকার লোভ দেখানো হয়েছিল। তবে তাতে সাড়া না দিয়ে সত্যের জন্য লড়াই করে গিয়েছেন। এবার চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মৌসুমী। অনশনমঞ্চেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সে কারণেই তাঁকে কুন্তল চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলেই পালটা দাবি মৌসুমীর।
এই প্রথমবার পরিবারের দুরবস্থা নিয়েও মুখ খোলেন কুন্তল। তাঁর দাবি, সংবাদমাধ্যমের জন্য তিনি সমস্যায় পড়েছেন। সন্তানদের স্কুলের ফি পর্যন্ত দিতে পারছেন না। ইডি পাহাড়প্রমাণ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়ার পরেও কুন্তলের দাবি আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো তাঁর সম্পত্তি রয়েছে। কুন্তলের কথায়, “এত সূত্র মারফৎ সম্পত্তি দেখালেন। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। ক্ষতি হল আমার পরিবারের। আমার পরিবার সমস্যার মুখে। ছেলেমেয়ের স্কুলের ফি পর্যন্ত দিতে পারছি না।” প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই বলেও দাবি কুন্তলের।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.