অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: হাতে আর ২০ দিন বাকি। ২৫ আগস্ট জন্মদিন বেহালা দুর্ঘটনায় মৃত সৌরনীল সরকারের। ৭ বছর পেরিয়ে আটে পা দেওয়ার আগেই থমকে গেল জীবন। একটা দুর্ঘটনায় এক মুহূর্তে ছাড়খাড় সরকার পরিবার। ছেলের ব্যাগ জড়িয়ে কেঁদে চলেছেন মা। হাসপাতালের বিছানায় চোখের জল ফেলছেন বাবা।
হরিদেবপুর থানা এলাকার বাসিন্দা সরোজ ও দীপিকা সরকার। তাঁদের একমাত্র সন্তান সৌরনীল। হরিদেবপুরের বাড়িতে থাকতেন তিনজন। ঠাকুরপুকুরে মুদি দোকান রয়েছে সরোজবাবুর। বড়িশা হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল সৌরনীল। প্রতিদিন বাবার সঙ্গে সাইকেলে স্কুলে আসত খুদে। এদিনও বাবার সঙ্গেই আসছিল, তবে সাইকেল নয় অটোতে। বেহালা চৌরাস্তায় নামতেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। গাড়ির চাকায় পিষে গেল ৭ বছরের পড়ুয়া। মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা। এখন হাসপাতালে তিনি। ছেলের ব্যাগ ধরে কেঁদে চলছেন অবিরাম। কথা বলার পরিস্থিতিতে নেই স্বাভাবিকভাবেই। দূর থেকে ছুটে এসেছেন আত্মীয় স্বজনরাও। মামা জানান, জন্মদিনে মামার বাড়ি যাওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু তা আর হল না।
খুদে সৌরনীল প্রতিবেশীদেরও অত্যন্ত আদরের ছিল। নিজের জন্মদিন নিয়ে প্রবল উৎসাহ ছিল তার। এবছর জন্মদিনে ইচ্ছে ছিল মা ও বাবার হাত ধরে মিলেনিয়াম পার্কে যাওয়ার। নিয়ে যাওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন বাবা-মা। পড়শিদের সেকথা জানিয়েওছিল খুদে। মজা করে প্রতিবেশীরা খুদের সঙ্গে যেতেও চেয়েছিলেন। এদিন কান্নাভেজা গলায় সেকথাই বলছেন সকলে। প্রিয় সৌরনীল যে নেই, আর কোনওদিনও ফিরবে না, দৌড়ে বেড়াবে না বাড়িময়, বিশ্বাসই করতে পারছেন না কেউ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.