দীপালি সেন: একাদশ শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষায় ফেল করেছে অনেকেই। দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারেনি রাজ্যের কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পুনর্মূল্যায়নে আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্কুলগুলিকে সেইমতো নির্দেশও দিয়েছিল সংসদ। সেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করানোর কথা বলা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের যে তথ্য এসেছে সংসদের হাতে, তাতে বিস্মিত সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। কয়েকহাজার ছাত্রছাত্রী ফেল করলেও ফের পরীক্ষায় বসতে আগ্রহী মাত্র হাজার খানেক। বেশিরভাগেরই অনীহা পুনর্মূল্যায়নে।
চলতি বছর থেকে নতুন পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি সেমিস্টার (Semestar) পদ্ধতিতে পঠনপাঠন চালু করার নির্দেশিকা দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। অথচ এখনও পর্যন্ত একাদশ শ্রেণি ফাইনাল পরীক্ষায় যারা ফেল করেছে, সকলের নাম নথিভুক্তই হয়নি। তার জেরে নতুন ক্লাস কতজন পড়ুয়াকে নিয়ে শুরু হবে, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারছে না শিক্ষা সংসদ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর একাদশ শ্রেণিতে (Class XI) অনুত্তীর্ণদের সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজারের কাছাকাছি। কিন্তু ৩ জুলাই পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনে দেখা যাচ্ছে, পুনর্মূল্যায়নের (Re-Exam)পরীক্ষায় বসতে আবেদন জানিয়েছেন মাত্র ১৩৫০ জন! সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এই তথ্য দিয়ে জানালেন, “এই পরিসংখ্যান আশ্চর্যজনক! ১০ জুলাই পর্যন্ত নাম নথিভুক্তকরণের সুযোগ দেওয়ার পরেও নতুন করে পরীক্ষা দিতে আগ্রহীদের সংখ্যা সবে এক হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে। অথচ কাউন্সিলের তরফে বিষয় পরিবর্তন, নতুন সেমিস্টার পদ্ধতিতে পঠনপাঠনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।” ফলে পড়ুয়াদের পাশ করার আগ্রহ নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.