ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়েছে প্রাণঘাতী করোনা। আগ্রা, তেলেঙ্গানা, জয়পুর ও দিল্লি থেকে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও আক্রান্তের খবর নেই। কিন্তু তার জন্য হাত গুটিয়ে বসে নেই রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে করোনা আক্রান্তের খবর এসে পৌঁছনোর পর পশ্চিমবঙ্গেও একদিনে প্রায় ৩৫০ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের মোকাবিলায় সমস্ত হাসপাতালকে CCU প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। করোনা থেকে বাঁচতে N95 মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রের খবর, যাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, তাঁরা গত দু-চারদিনের মধ্যে ইউরোপ বা পশ্চিম এশিয়ার কোনও দেশ থেকে ফিরেছেন। কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই তাঁদের নজরদারির আওয়ায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। করোনার মোকাবিলার জন্য বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের উপর ভরসা করে থাকতে রাজি নয় প্রশাসন। তাই কলকাতার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তো বটেই, রাজ্যের প্রতিটি জেলার সমস্ত হাসপাতালগুলিকে করোনা মোকাবিলায় সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের মোকাবিলায় কোনও রকম খামতি রাখতে চায় না সরকার। কোনও ভাবেই সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, তাই সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এই প্রথম যে ৩৪৫ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, তেমন নয়। গত দু’মাস ধরে ১০৭৫ জনের উপর নজরদারি চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর সেই সংখ্যাটা বেড়ে গিয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। মঙ্গলবারই ৩৪৫ জনকে নজরদারির আওতায় আনা হয়। সোমবার যে ইতালি ফেরত দম্পতি ও মালয়েশিয়া ফেরত যুবককে আইসোলেশনে ভরতি করা হয়েছিল, তাঁরা এখনও পর্যবেক্ষণের মধ্যেই রয়েছেন। যদিও তাঁদের সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু তাও রাশ হালকা করতে রাজি নয় রাজ্য।
তবে সতর্কতার মোড়কে আতঙ্ক না ছড়ানোর অনুরোধও জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা। সর্দি-কাশি, হাত ধোয়া বা সতর্কীকরণের যাবতীয় তথ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে সেটি বাংলা তর্জমা করা হবে। তারপর সেটিও দেওয়া হবে ওয়েবসাইটে। রাজ্যের জেলা প্রশাসনের কাছেও এ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাঠানো হবে। সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে রাজ্যের স্কুলগুলিতে। যদিও অনেক স্কুল আবার স্বাস্থ্য দপ্তরকে এই মর্মে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্দেশিকা পাঠানোর আবেদন জানিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.