অভিরূপ দাস: কোনও তীর্থস্থান নেই। নেই কোনও দর্শনীয় জায়গা। তবু সেখানেই খুলছে একের পর এক গেস্ট হাউস। আর মধ্যরাতেও সেসব গেস্ট হাউসে ঢুকছে যুগলরা।
দক্ষিণ কলকাতার কসবায় OYO হোটেল ব্যবসা নিয়ে কপালে ভাঁজ কাউন্সিলরের। কাউন্সিলরের অভিযোগ, এই সমস্ত গেস্ট হাউসে লেগেই আছে বহিরাগতদের আনাগোনা। দক্ষিণ কলকাতার কসবা, রাজডাঙা হালতু এলাকার OYO গেস্টহাউসের উৎপাতে নাজেহাল কাউন্সিলর লিপিকা মান্না শনিবার অভিযোগ তুললেন কলকাতা পুরসভায়।
তাঁর অভিযোগ, কসবার এই এলাকায় কয়েক পা দূরে দূরে গজিয়ে উঠেছে একটা করে OYO হোটেল। বাদ যায়নি স্কুলের পাশের আবাসনও। কসবার শ্রী রাম নারায়ণ সিং মেমোরিয়াল হাই স্কুলের দু’পাশেই গজিয়ে উঠেছে OYO গেস্ট হাউস। কাউন্সিলরের দাবি, কসবায় এই মুহূর্তে ওয়ো হোটেলের সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে ৬৮টির তালিকা নিয়ে শনিবার পুরসভায় এসেছিলেন কাউন্সিলর।
ইতিমধ্যেই ওয়ার্ডের চারজন বাসিন্দা চিঠি দিয়েছেন কাউন্সিলরকে। তাঁদের অভিযোগ, এই OYO হোটেলের দৌরাত্ম্যেই সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মাঝরাতেও এলাকায় বহিরাগত যুগলরা প্রবেশ করছে। প্রশ্ন উঠছে এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে। শনিবার পুর অধিবেশনে, কাউন্সিলরের প্রশ্ন, এই ওয়ার্ডের কাছাকাছি কোনও বিমানবন্দর নেই। কোনও মন্দির নেই। নেই কোনও রেলওয়ে স্টেশন। সেখানে এতগুলো গেস্ট হাউস গজিয়ে ওঠার মানে কি? কার দ্বারস্থ হলে এই সমস্যা মিটবে?
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনও আইন নেই পুরসভার হাতে। চাইলে পুরসভা এই গেস্টহাউস বন্ধ করতে পারে না। চেয়ারপার্সন মালা রায় যদিও কাউন্সিলরকে বলেছেন, এলাকার এই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা গেস্ট হাউসের তালিকা জমা দেওয়ার জন্য। সমীক্ষা বলছে, কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের শুধুমাত্র নারকেলডাঙা এলাকাতেই কুড়িটা ওয়ো গেস্ট হাউস খুলেছে। অনেক ওয়ো গেস্ট হাউস খুলেছে এক কাটারও কম জমিতে। এই এলাকায় কেএমডিএ থেকে এই সমস্ত জমি দেওয়া হয়েছিল দুঃস্থদের। সে বাড়িও এখন ওয়ো গেস্ট হাউস। সূত্রের খবর এই ব্যবসায় লাভ প্রচুর। সাধারণ হোটেলে প্রবেশ করতে গেলে অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়ে যুগলদের। কিন্তু OYO-তে সে চিন্তা নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.