ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন যত যাচ্ছে লকডাউনের মাঝেই রাস্তায় ভিড় বাড়ছে মানুষের। বাসের জন্য একাধিক স্টপেজে হাপিত্যেশ করে দাঁড়িয়ে থাকছেন যাত্রীরা। সামনে দিয়ে বাস বেরিয়ে গেলেও ২০ জন হয়ে যাওয়ায় তারা তাতে উঠতে পারছেন না। রাস্তায় বেরিয়ে এক অদ্ভুত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাই দুর্ভোগ কাটাতে এবার কলকাতা ও শহরতলির মধ্যে ৪৯টি বাস রুট চালু হতে চলেছে। গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত রুটই আছে এই তালিকায়।
নদিয়া এবং দুই চব্বিশ পরগনার সঙ্গেও শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বাসের মাধ্যমে। তবে এসবই রাস্তাঘাট ঠিক হওয়ার পর। আমফানের তাণ্ডবে চতুর্দিক লণ্ডভণ্ড। গাছ পড়ে রয়েছে বহু রাস্তায়। সব স্বাভাবিক হলেই এই বাস পরিষেবা চালু হবে। বর্তমানে শহরে ১৫টি রুটে আধঘণ্টা অন্তর বাস চলছে। কিন্তু চলাই সার। প্রতি ডিপো থেকে বাস ছাড়ার আগেই যাত্রী হয়ে যাচ্ছে ২০ জন। পরের বাসের জন্য তখনও অধিকাংশ বাস ছাড়ার স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকছেন প্রায় ৩০-৪০ জন। ফলে বাস ছাড়ার পর মাঝখানে থাকা স্টপেজে যারা দাঁড়িয়ে থাকছেন তারা আর উঠতে পারছেন না। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দুর্ভোগে পড়েছেন।
লকডাউনের মাঝেই শুক্রবার থেকে বহু বেসরকারি অফিস খুলে গিয়েছে। যেতে হচ্ছে কর্মচারীদের। বাস না পেলে তারা যেতেও পারছেন না। সেকথা মাথায় রেখেই দিনকয়েকের মধ্যেই এই বাসের সংখ্যা এবং রুট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। দপ্তর সূত্রে খবর, সকাল সাতটা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হবে। প্রথম ট্রিপে নামানো হবে আড়াইশোটি বাস আর দ্বিতীয় ট্রিপে চলবে পৌনে দু’শো মতো। আপাতত নন এসি বাস রাস্তায় চলবে। নামানো হবে না এসি বাস। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসে কুড়ি জন যাত্রী তোলার নিয়ম। কিন্তু যে পরিমাণ রাস্তায় ভিড় বাড়ছে তাতে এই সংখ্যক যাত্রী উঠলে বহু মানুষ বাসের জন্য হাপিত্যেশ করে দাঁড়িয়ে থাকবেন স্টপেজে স্টপেজে। বাসে তাঁরা উঠতে পারবেন না।
তাই পরিস্থিতি সামলাতে পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, সাধারণ সময়ে বাসে যখন ৬০-৬৫ জন যাত্রী উঠতে পারেন, সেখানে এখন সংখ্যাটা ২০ না করে ৩০ করলে পরিস্থিতি কিছুটা সামলানো সম্ভব। সবই যখন খুলে যাচ্ছে তখন দূরত্ব বজায় রেখেই ত্রিশ জন যাত্রী বাসে তোলা হলে ক্ষতি কী! না হলে শুধু সরকারি বাস দিয়ে যাত্রীর চাপ সামলানো মুশকিল হবে। বেসরকারি বাস আপাতত রিকুইজেশন করে নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের আনার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরিবহণ দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এদিকে শহরে শুরু হয়ে গিয়েছে হলুদ ট্যাক্সি পরিষেবাও। কলকাতা ট্যাক্সি অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে চালকদের গ্লাভস এবং মাস্ক দেওয়া হয়। সংগঠনের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চালকরা যেন দুজনের বেশি যাত্রী না তোলেন গাড়িতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.