ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাডিনো (Adeno Virus)-নিউমোনিয়ার দাপটের মাঝেই ফের শিশুমৃত্যু। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও বিসি রায় হাসপাতালে জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হল আরও ৩ শিশুর। তারা প্রত্যেকেই নিউমোনিয়া আক্রান্ত ছিল বলে খবর। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মৃত শিশুদের মধ্যে একজন হুগলির (Hooghly) বাসিন্দা। কিছুদিন ধরেই জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছিল। ছিল শ্বাসকষ্টের সমস্যাও। ভরতি করা হয়েছিল স্থানীয় হাসপাতালে। পরবর্তীতে তাকে রেফার করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। বাকি দুই শিশু ভরতি ছিল বিসি রায় হাসপাতালে। সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত তিন শিশুই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। একের পর এক শিশু মৃত্যুতে আতঙ্কিত রাজ্যবাসী।
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয় দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে জ্বর, সর্দি-কাশির সংক্রমণ। যার নেপথ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। এরজন্য বিশেষজ্ঞরা দায়ী করেছেন ইনফ্লুয়েঞ্জার উপ প্রজাতি এইচ ৩ এন ২ ভাইরাসকে। আইসিএমআর-এর তরফে শনিবারই সমাজমাধ্যমে জনগণকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এই ধরনের জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ কমাতে মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া মারাত্মক বিপজ্জনক। কেউ কেউ আবার আজিথ্রোমাইসিন বা আইভারমেকটিন জাতীয় ওষুধ খাচ্ছেন। এমন নির্বিচারে ওষুধ খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
আইসিএমআর-এর পরামর্শদাতা ডা. সমীরণ পন্ডার কথায়, নির্বিচারে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে ভবিষ্যতে এই গোত্রের কোনও ওষুধ কাজ করবে না। শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা কমবে। অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ খুব গুরুতর হয় না। কেবল শ্বাসযন্ত্রের কিছুটা ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু, লক্ষণগুলির তীব্রতা বিভিন্ন বয়সের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হতে পারে, অন্তত এমনটাই বলছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.